ভাগ্যের ফেরে গাড়িচালক জিতলেন ২ কোটি টাকা!

প্রতীকী ছবি। এএফপি
প্রতীকী ছবি। এএফপি

গাড়ি চালিয়ে বছরে ৬৫০ ডলারের মতো উপার্জন করেন আবদুল সালাম। সেই সালামই এক ঝটকায় হয়ে গেছেন ২ লাখ ৭২ হাজার ডলারের মালিক, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ২ কোটি টাকারও বেশি!

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কেরালায় জন্ম নেওয়া আবদুল সালাম সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবিতে গাড়ি চালান। ভাগ্য অন্বেষণের জন্য ২২ বছর আগে খালি হাতে কেরালা থেকে আবুধাবি এসেছিলেন ৪৩ বছর বয়সী সালাম। মরু শহর আবুধাবির এক শপিং মলে এক র‍্যাফেল ড্রতে অংশ নিয়েই প্রায় ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা জিতে গেছেন তিনি।

খালিজ টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সালাম নিজেই জানিয়েছেন ভাগ্য বদলে যাওয়ার কথা। কেরালার থিরুভানান্থাপুরাম শহর থেকে আসা সালাম বলেছেন, ‘৫০ বছর ধরে কাজ করলেও এই অর্থের কাছাকাছি পরিমাণ অর্থ উপার্জন করতে পারতাম না আমি। ১৯৯৭ সালে অনেক স্বপ্ন নিয়ে, কিন্তু খালি হাতে আবুধাবিতে এসেছিলাম আমি। ড্রাইভিং লাইসেন্স নিয়ে শারজায় গাড়ি চালাতে শুরু করি, কিন্তু বেশি কিছু সঞ্চয় করতে পারছিলাম না। এরপর আবুধাবিতে একটি পরিবারের গাড়ি চালানোর কাজ নেই। এখন বছরে আমার আয় সাড়ে ছয় শ ডলারের কাছাকাছি।’

আবুধাবির সংস্কৃতি ও পর্যটন বিভাগের ‘মল মিলিয়নিয়ার’ কর্মসূচির আওতায় এই পুরস্কার জিতেছেন আবদুল সালাম। ৫৪ ডলার ব্যয় করে বিশাল অর্থের মালিক হয়ে যাওয়ার উত্তেজনা ধরা পড়েছে তাঁর কণ্ঠে, ‘আমাকে ৫ আগস্ট জানানো হয় যে আমি লটারিতে জিতেছি। আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না আসা পর্যন্ত কাউকে জানাতেও বারণ করা হয়েছিল। আমি কেরালায় আমার পরিবারকেও কিছু জানাইনি। শুধু আমার স্ত্রীকে বলেছিলাম, বড় একটি চমক অপেক্ষা করছে।’

তবে ভাগ্যক্রমে জিতে যাওয়া এই বিশাল অঙ্কের অর্থও হাতছাড়া হওয়ার উপক্রম হয়েছিল সালামের। লটারির জন্য নিবন্ধন করার এসএমএসটি যে মোবাইল থেকে হারিয়ে ফেলেছিলেন তিনি! পরে অবশ্য তেমন কোনো সমস্যা হয়নি, পুরস্কারের অর্থ ঠিকই বুঝে পেয়েছেন তিনি। সালাম বলেছেন, ‘এসএমএসটি যখন খুঁজে পাচ্ছিলাম না, তখন যেন ছোটখাটো একটি হার্ট অ্যাটাকই হয়ে গিয়েছিল আমার! কিন্তু সৌভাগ্যবশত আয়োজকেরা আমার ফোন নম্বর ও বিস্তারিত তথ্য মিলিয়ে আমাকে বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করেছেন।’

হঠাৎ জিতে যাওয়া এই অর্থ দিয়ে এখন নিজের একটি বাড়ি বানানোর স্বপ্ন দেখছেন সালাম, ‘জমানো অর্থ যা ছিল তাই দিয়ে ছোট্ট এক টুকরো জমি কিনেছিলাম। ২০২১ সালের মধ্যে একটি বাড়ি বানানোর পরিকল্পনা করেছিলাম। এই অর্থ আমার জন্য একদম সঠিক সময়ে এসেছে।’