কাশ্মীর ইস্যুতে ভারত-পাকিস্তানকে আলোচনায় বসতে ট্রাম্পের আহ্বান

ইমরান খানের সঙ্গে ফোনালাপে আফগানিস্তান ইস্যু নিয়েও কথা বলেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: রয়টার্সের ফাইল ছবি।
ইমরান খানের সঙ্গে ফোনালাপে আফগানিস্তান ইস্যু নিয়েও কথা বলেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: রয়টার্সের ফাইল ছবি।

কাশ্মীর ইস্যুতে নয়াদিল্লি ও ইসলামাবাদকে আলোচনায় বসার বিষয়ে জোর দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে ফোনালাপে তিনি এ কথা বলেছেন। গতকাল শুক্রবার হোয়াইট হাউসের বরাত দিয়ে এএফপি এ তথ্য জানিয়েছে।

সপ্তাহখানেক আগে জম্মু ও কাশ্মীরকে দেওয়া বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে নরেন্দ্র মোদি সরকার। এরপর থেকে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে গতকাল জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে রুদ্ধদ্বার আলোচনাও হয়েছে।

পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি দাবি করেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইমরান খানের মধ্যে ‘সৌহার্দ্যপূর্ণ আলাপচারিতা’ হয়েছে। কাশ্মীর ইস্যুতে খোঁজখবর রাখবে যুক্তরাষ্ট্র। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম রেডিও পাকিস্তান কোরেশির বরাত দিয়ে জানিয়েছে, ‘কাশ্মীরের সাম্প্রতিক ঘটনাবলিতে আঞ্চলিক শান্তি নষ্ট হওয়ার যে হুমকি তৈরি হয়েছে, সে বিষয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।’

কুরেশি আরও জানান, তাঁরা দুজন আফগানিস্তান নিয়েও আলোচনা করেছেন। তালেবানদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আলোচনা চলছে। তিনি পরে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, পাকিস্তান জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ স্থায়ী সদস্যের মধ্যে চারটির সমর্থন পেতে যোগাযোগ করেছিল। তিনি জানান, ফরাসি প্রেসিডেন্টের সঙ্গেও যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়েছিল।

নিরাপত্তা পরিষদের রুদ্ধদ্বার বৈঠকটি পাকিস্তানের মিত্র চীনের অনুরোধে অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনাটি কেবল ওই পরিষদের ৫ স্থায়ী সদস্য এবং ১০ অস্থায়ী সদস্যের জন্য উন্মুক্ত ছিল। আলোচনায় প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়ার জন্য পাকিস্তানের করা আবেদন নাকচ করে দেওয়া হয়।

জাতিসংঘের তথ্য অনুসারে, নিরাপত্তা পরিষদ জম্মু-কাশ্মীর বিরোধ নিয়ে সর্বশেষ ১৯৬৫ সালে আলোচনায় বসেছিল।

৫ আগস্ট ভারতের বর্তমান বিজেপিশাসিত কেন্দ্রীয় সরকার জম্মু ও কাশ্মীরকে বিশেষ সুবিধা দেওয়া সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করে দ্বিখণ্ডিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রাজ্যটিকে দ্বিখণ্ডিত করে জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ নামে দুটি আলাদা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল সৃষ্টির সিদ্ধান্ত হয়। এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ভারতীয় হাইকমিশনারকে বহিষ্কার করে পাকিস্তান। নয়াদিল্লির সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক হ্রাস করার সিদ্ধান্ত জানায় তারা। ভারত অবশ্য জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করার পদক্ষেপকে একটি অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে বিবেচনা করছে। তাদের পক্ষ থেকে পাকিস্তানকে ‘বাস্তবতা মেনে নেওয়ার’ পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: