রামমন্দিরে সোনার ইট দেবেন 'মোগল বংশধর'

হাবিবুদ্দিন তুসি
হাবিবুদ্দিন তুসি

১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর। এদিন উগ্র হিন্দুত্ববাদী একদল লোক ভারতের উত্তর প্রদেশের অযোধ্যায় প্রখ্যাত বাবরি মসজিদ ধ্বংস করে। তাদের দাবি, অতীতে সেখানে রামমন্দির ছিল। মসজিদটি ধ্বংসের পর পরিত্যক্ত ওই জায়গার মালিকানা নিয়ে আদালতে মামলা চলছে। এর মধ্যেই ভারতের মোগল সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফরের শেষ উত্তরাধিকার দাবি করা প্রিন্স হাবিবুদ্দিন তুসি হাজির হলেন আলোচনায়। গত রোববার তিনি বলেন, আদালত ওই জায়গা তাঁকে দিলে তিনি তা রামমন্দিরের জন্য দান করবেন। রামমন্দির নির্মাণের জন্য তিনি একটি সোনার ইটও দান করবেন।

মোগল সম্রাট বাবর ১৫২৯ সালে বাবরি মসজিদ নির্মাণ করেন। এ কারণে উত্তরাধিকার সূত্রে নিজেকে ওই জমির বৈধ মালিক দাবি করেছেন তুসি। তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্ট যদি তাঁকে জমি দিয়ে দেন, তাহলে এর পুরোটা রামমন্দির নির্মাণের জন্য দান করবেন। কারণ, তিনি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের আবেগ–অনুভূতিকে সম্মান করেন। তিনি বিশ্বাসও করেন, যেখানে বাবরি মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছিল, সেখানে রামমন্দির ছিল।

অযোধ্যার ওই জমিটির মালিকানা নিয়ে ভারতের সর্বোচ্চ আদালতে শুনানি চলছে। এর মধ্যেই জমিটি তাঁকে দেওয়ার দাবি জানিয়ে আদালতে আবেদন করেন ৫০ বছর বয়সী প্রিন্স তুসি। ওই আবেদনের শুনানি এখনো শুরু হয়নি। তুসির যুক্তি, ওই মামলায় যুক্ত পক্ষগুলোর কারও কাছেই জমির মালিকানা প্রমাণ করার মতো নথিপত্র নেই। কিন্তু মোগল সম্রাটের উত্তরাধিকার হওয়ায় জমিটির ওপর তাঁর অধিকার রয়েছে। তিনি জানান, ইতিমধ্যে মন্দির নির্মাণের জন্য পুরো জমি দান করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।