রাতে সবচেয়ে ভালো ঘুমান কারা

প্রতীকী ছবি। রয়টার্স
প্রতীকী ছবি। রয়টার্স

বিশ্বে রাতে সবচেয়ে ভালো ঘুমান ভারতীয়রা। এর পরেই আছেন সৌদিরা। সম্প্রতি ‘ফ্লিপস গ্লোবাল স্লিপ সার্ভে ২০১৯’ নামের এক জরিপে এমন তথ্যই উঠে এসেছে।

ইন্দো এশিয়ান নিউজ সার্ভের এক প্রতিবেদনের বলা হয়েছে, ফ্লিপসের পক্ষ থেকে ওই জরিপটি চালিয়েছে বৈশ্বিক বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান কেজেটি গ্রুপ। অনলাইনে ১২টি দেশের ১৮ বা এর বেশি বয়সী ১১ হাজার ব্যক্তির ওপর জরিপটি চালানো হয়। জরিপে দেখে গেছে, বিশ্বব্যাপী ৬২ শতাংশ পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তি মনে করেন, তাঁদের ভালো ঘুম হয় না।

জরিপে আরও দেখা গেছে, ভালো ঘুমের তালিকায় সবচেয়ে খারাপ অবস্থানে আছে দক্ষিণ কোরিয়া। এরপরই জাপান। এই দুই দেশের নাগরিকের কম ঘুমের অভ্যাস আছে।

বিশ্বব্যাপী পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তিরা কর্মব্যস্ত দিনগুলোতে গড়ে ৬ দশমিক ৮ ঘণ্টা ঘুমায়। তবে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে গড় ঘুমের পরিমাণ হয় ৭ দশমিক ৮ ঘণ্টা। ওই জরিপের ফলে উঠে এসেছে, কর্মব্যস্ত দিনগুলোতে প্রায় ৬৩ শতাংশেরই ঘুমের অভাব তৈরি হয়। ওই অভাব পূরণ করতে ১০ জনের ৬ জনই সাপ্তাহিক ছুটির দিনে আট ঘণ্টার চেয়ে বেশি ঘুমায়।

অন্যদিকে জরিপে অংশ নেওয়া ১০ জনের ৪ জনই জানিয়েছেন, গত পাঁচ বছরে তাঁদের ভালো ঘুমের অভ্যাস নষ্ট হয়ে গেছে। তবে ২৬ শতাংশ জানিয়েছে, তাদের ভালো ঘুমের অভ্যাস তৈরি হয়েছে। আর ৩১ শতাংশ জানিয়েছে, তাদের ঘুমের অভ্যাসে কোনো হেরফের হয়নি।

জরিপে ভালো ঘুমানোর পথে কী কী প্রতিবন্ধকতা আছে, তা–ও তুলে আনার চেষ্টা করা হয়েছে। দেখা গেছে, কানাডার ৬৩ শতাংশ ও সিঙ্গাপুরের ৬১ শতাংশ নাগরিক দুশ্চিন্তার কারণে ভালো ঘুম ঘুমাতে পারেন না। তবে বিশ্বব্যাপী ভালো ঘুম না হওয়ার পেছনের প্রধান পাঁচটি কারণ হলো, দুশ্চিন্তা (৫৪ শতাংশ), ঘুমানোর পরিবেশ (৪০ শতাংশ), কাজ বা বিদ্যালয়ের সময়সূচি (৩৭ শতাংশ), বিনোদন (৩৬ শতাংশ) ও স্বাস্থ্যগত কারণ (৩২ শতাংশ)।

সুস্বাস্থ্যের জন্য ভালো ঘুম এখন প্রধান নিয়ামক হিসেবে বিবেচিত হয়। প্রতি রাতে যদি এক বা দুই ঘণ্টা কম ঘুমানো হয়, তবে যে প্রভাব পড়ে, তা টানা এক বা দুই দিন না ঘুমানোর প্রভাবের সমান।

ওই জরিপটির ইতি টানা হয়েছে এই বলে যে বিশ্বব্যাপী হয়তো ঘুমানোর ধরন ও সময়সীমায় পার্থক্য থাকতে পরে, তবে একটি বিষয় স্পষ্ট, লোকেরা এখনো পর্যাপ্ত ঘুমাতে পারছে না।