গৃহস্থালির বর্জ্যে উড়বে উড়োজাহাজ

গৃহস্থালি ও বাণিজ্যসংশ্লিষ্ট বর্জ্য থেকে তৈরি করা হবে জেট ফুয়েল (উড়োজাহাজের জ্বালানি)। আর তা দিয়েই আকাশে উড়বে উড়োজাহাজ। ছবিটি প্রতীকী। ছবি: এএফপি
গৃহস্থালি ও বাণিজ্যসংশ্লিষ্ট বর্জ্য থেকে তৈরি করা হবে জেট ফুয়েল (উড়োজাহাজের জ্বালানি)। আর তা দিয়েই আকাশে উড়বে উড়োজাহাজ। ছবিটি প্রতীকী। ছবি: এএফপি

বিভিন্ন ধরনের উদ্ভাবনে এগিয়ে যাচ্ছে বর্তমান বিশ্ব। এবার জানা গেছে, গৃহস্থালির বর্জ্য দিয়ে চলবে উড়োজাহাজ। পাঁচ বছরের মধ্যে এমন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কাজ চলছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গৃহস্থালি ও বাণিজ্যসংশ্লিষ্ট বর্জ্য থেকে তৈরি করা হবে জেট ফুয়েল (উড়োজাহাজের জ্বালানি)। আর সেই জ্বালানি দিয়েই আকাশে উড়বে উড়োজাহাজ। ২০২৪ সালের মধ্যে সমন্বিতভাবে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কথা জানিয়েছে যুক্তরাজ্যের তিনটি কোম্পানি। কোম্পানিগুলো হলো: তেল কোম্পানি শেল, ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রযুক্তি সংস্থা ভেলোসিস।

বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় কার্বন ডাই-অক্সাইডসহ বিভিন্ন গ্যাস নির্গমন কমানো ও পরিবেশবান্ধব উড়োজাহাজ-সেবা বাড়ানোর লক্ষ্যে এমন পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এ জন্য কাজ শুরু করা হবে ২০২১ সালে। এর তিন বছরের মধ্যেই পরিকল্পনা অনুয়ায়ী ফল পাওয়া যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।

বর্জ্য থেকে শক্তি উৎপাদনের প্রক্রিয়া কাজে লাগিয়ে এরই মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে। এই প্রক্রিয়ায় ঘরের উচ্ছিষ্ট খাবার অথবা কাটা ঘাসের মতো বর্জ্য পুড়িয়ে বিদ্যুৎশক্তিতে রূপান্তর করা হয়।

ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অ্যালেক্স ক্রজ বলেন, সামনের বছরগুলোতে টেকসই জ্বালানি বিমান চলাচলে বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে পারে।

বর্জ্য থেকে জেট ফুয়েল উৎপাদনের এই প্রকল্পের জন্য যৌথভাবে ৭৩ লাখ পাউন্ড বিনিয়োগ করা হবে। তবে ধারণা করা হচ্ছে, এই প্রকল্পের প্রত্যাশিত ব্যয় কয়েক শ মিলিয়ন পাউন্ড ছাড়িয়ে যেতে পারে।