ভারতে সমুদ্রে ভাসছিল এক বাংলাদেশি মৎস্যজীবী

ইমরান খান।
ইমরান খান।

বাংলাদেশের মাছধরার ট্রলার এফবি ইমরান সপ্তাহখানেক আগে ১২ জন মৎস্যজীবীকে নিয়ে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে যায়। মাছ ধরার সময় ইমরান খান নামের এক কিশোর মৎস্যজীবী বালতিতে দড়ি বেঁধে সমুদ্র থেকে পানি তোলার সময় হঠাৎ সমুদ্রে পড়ে যায়। কিন্তু তখন উত্তাল সমুদ্র থেকে তাকে উদ্ধার করা যায়নি। সে যে ট্রলারে ছিল, সেটি স্রোতের টানে ভেসে যায়। দুই দিন সমুদ্রে ভাসতে ভাসতে ইমরান চলে যান ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সমুদ্রসীমায়।

গতকাল শনিবার ভারতীয় ট্রলার ‘এফবি বাবা পঞ্চানন’–এর চালক মনোরঞ্জন দাস সমুদ্রে মাছ ধরার সময় দেখতে পান একজন মানুষ ভেসে যাচ্ছে। এরপর ওই ট্রলারের চালক দূরে ভাসতে থাকা মানুষ দেখে সেখানে যান। তারপর উদ্ধার করেন ওই কিশোর মৎস্যজীবীকে। উদ্ধারের পর ওই কিশোর মৎস্যজীবী জানায়, তারা ১২ মৎস্যজীবী এফবি ইমরান নামের একটি ট্রলারে করে সমুদ্রে মাছ ধরছিল। হঠাৎ সে সমুদ্রে পড়ে যায়। আর উঠতে পারেনি। এরপর ঢেউ আর স্রোতে ভাসতে থাকে সে। এই দুই দিন শুধু সমুদ্রের পানি পান করে বেঁচেছিল সে।

ইমরানকে উদ্ধারের পর ভারতীয় মৎস্যজীবীরা তাকে নিয়ে যায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবার মহকুমার রায়দীঘি বন্দরে। সেখানে তাকে ভর্তি করানো হয় গ্রামীণ হাসপাতালে। ডায়মন্ড হারবারের মহকুমা প্রশাসক সুকান্ত সাহা বলেছেন, আইনি প্রক্রিয়ায় এই বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে দেশে ফেরানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইমরানের বাড়ি বাংলাদেশের বরগুনার পাথরঘাটা থানার চর দোয়ানি গ্রামে।