আফগানিস্তানে গাড়িবোমা হামলায় নিহত ১০
আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে শক্তিশালী গাড়িবোমা হামলায় ১০ জন নিহত ও ৪০ জন আহত হয়েছেন। কাবুলে আজ বৃহস্পতিবার একটি নিরাপত্তাচৌকির কাছাকাছি ওই বোমা হামলার ঘটনাটি ঘটেছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তালেবান এ হামলার দায় স্বীকার করেছে। হামলার ঘটনাস্থল থেকে কিছুটা দূরেই কাবুলের সবচেয়ে সুরক্ষিত এলাকা অবস্থিত। ওই এলাকায় বিভিন্ন দূতাবাস ও সরকারি ভবন রয়েছে। ওই হামলার স্থানের কাছেই ন্যাটোর দপ্তর ও যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস অবস্থিত।
বার্তা সংস্থা এএফপি বলছে, বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় ১০টা ১০ মিনিটে হামলা হয়। ভিডিওচিত্রে দেখা গেছে, একটি ধূসর রঙের ছোট আকারের গাড়ি অন্য একটি সাদা রঙের গাড়িকে পাশ কাটানোর মুহূর্তে বিস্ফোরিত হয়।
আফগানিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নুসরাত রহিমি জানিয়েছেন, হতাহতরা সবাই বেসামরিক নাগরিক। তবে ঘটনাস্থলের কাছাকাছি অবস্থিত ওয়াজির আকবর খান হাসপাতালের মহাব্যবস্থাপক ফরিদ আহমেদ করিমি এএফপিকে বলেছেন, নিহত ও আহত লোকজনের মধ্যে সামরিক কর্মকর্তাও আছেন।
এক টুইটে তালেবানের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদি বলেছেন, একজন আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী এই ঘটনা ঘটিয়েছে। এতে ১২ জন ‘বিদেশি অনুপ্রবেশকারী’ নিহত হয়েছে।
এই হামলার সঙ্গে বাইরের কোনো শক্তি জড়িত আছে কি না, সেই বিষয়ে ন্যাটো জোট কোনো মন্তব্য করেনি। এর আগে গত সোমবার পূর্ব কাবুলের একটি আবাসিক এলাকায় হামলার ঘটনা ঘটে। তাতে অন্তত ১৬ জন নিহত হয়েছিলেন।
কয়েক হাজার মার্কিন সেনা সরিয়ে নেওয়ার চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার পরপরই রাজধানী কাবুলে একের পর এক হামলা হচ্ছে। ওই চুক্তি নিয়ে এখন বিভিন্ন পক্ষের মধ্যে অস্বস্তি দেখা দিয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী, আগামী বছরের মধ্যে আফগানিস্তানে থাকা ১৩ হাজার মার্কিন সেনার মধ্যে ৫ হাজার সেনাকে সরিয়ে নেবে যুক্তরাষ্ট্র। বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, আফগানিস্তান থেকে মার্কিন বাহিনী সরিয়ে নেওয়ার কারণে দেশটিতে তালেবানের আবারও ক্ষমতায় ফিরে আসার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।