তৃণমূল নেতাদের পাকিস্তানে যেতে বললেন রাহুল সিনহা

বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি
বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি

ভারতের চন্দ্রযান-২ নিয়ে ‘কটাক্ষ’ করায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তীব্র সমালোচনা করেছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা। সমালোচনাকারীদের উদ্দেশে রাহুল বলেছেন, ‘ওরা রাষ্ট্রীয় কলঙ্ক। ওদের পাকিস্তানে গিয়ে বাস করা উচিত। ’

শুক্রবার গভীর রাতে চন্দ্রযানের চাঁদের মাটি স্পর্শ করার কথা থাকলেও মাত্র ২ দশমিক ১ কিলোমিটার ওপরে থাকার সময় এই চন্দ্রযানের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

তবে তার আগেই মমতা এই চন্দ্রযানকে কটাক্ষ করে বলেন, ’দেশের আর্থিক বিপর্যয়ের মধ্যে মানুষের দৃষ্টি অন্যদিকে ঘোরানোর জন্য চন্দ্রযান-২’এর প্রচার চলছে। দেশে এ ধরনের মহাকাশ অভিযান নতুন নয়, সব কৃতিত্ব যেন ওরা (বিজেপি) একাই নিতে চায়।’ মমতা বলেন, ’এখন যাঁরা লাফালাফি করছেন সেই বিজেপির নেতাদের থাকার জন্য চাঁদে জমি কিনে বহুতল বাড়ি গড়ে দিক বিজেপি। ওখানে গিয়ে থাকবেন ওরা।’

মমতার এ মন্তব্যের ব্যাপক সমালোচনা হয়।
গতকাল রোববার রাহুল সিনহা ভারতীয় মজদুর ফেডারেশনের এক সভায় মমতার সমালোচনা শামিল হন। মমতার দল তৃণমূলকে ‘রাষ্ট্রের কলঙ্ক’ বলে উল্লেখ করে বলেন, ’চাঁদের কাছাকাছি গিয়ে আমাদের চন্দ্রযান সংযোগ হারিয়ে ফেলেছে। সারা দেশের মানুষ কান্নায় ভেঙে পড়েছে। সারা দেশের মানুষ ওপরওয়ালার কাছে প্রার্থনা করছে, যাতে চন্দ্রযানের সংযোগ হয়। আর তখন তৃণমূল প্রার্থনা করছে, সংযোগ যাতে স্থাপন না হয়।’

রাহুল সিনহা এরপর বলেন, ’যদি চন্দ্রযান ফের যোগাযোগ স্থাপন করতে পারে , তাহলে লিখে রাখুন , মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন করবেন , চন্দ্রযান যে চাঁদে গিয়েছে তাঁর প্রমাণ কোথায়? বলবে এগুলো চাঁদের ছবি তাঁর প্রমাণ কি? রাশিয়া, আমেরিকা থেকে চুরি করা চাঁদের ছবি কি না তার প্রমাণ কী?’
এরপরেই এক বিতর্কিত মন্তব্য করেন রাহুল সিনহা। বলেন, ’তাই আমি ভাবছিলাম চন্দ্রযান যাওয়ার আগে ইসরোর বিজ্ঞানীদের বলব, চন্দ্রযানের পেছনে ওঁকে বেঁধে নিয়ে যান। যাতে প্রমাণ পেয়ে যাবে, দেখে আসবে কী হচ্ছে? ’রাহুল সিনহা বলেন, ’রাষ্ট্রের গৌরবে কেউ যদি গর্বিত না হন, তাহলে সে রাষ্ট্রের কলঙ্ক। এখন চন্দ্রযানকে নিয়ে রাজনীতি খেলা শুরু হচ্ছে। যতই রাজনীতি করুক , পশ্চিমবঙ্গ থেকে তৃণমূলের বিদায় আসন্ন’।