আগাম নির্বাচনে বরিসের দ্বিতীয় প্রচেষ্টাও ব্যর্থ

বরিস জনসন। ছবি: এএফপি
বরিস জনসন। ছবি: এএফপি

আগাম নির্বাচন আয়োজনে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের প্রস্তাব আবারও এমপিদের ভোটাভুটিতে হেরেছে। স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার ব্রিটিশ পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাবের পক্ষে ২৯৩ জন এমপি ভোট দেন, যা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। এর আগে বিরোধী এমপিরা নিশ্চিত করেছিলেন যে তাঁরা ১৫ অক্টোবর সাধারণ নির্বাচন আয়োজনে সরকারের প্রস্তাবে সাড়া দেবেন না। এই সিদ্ধান্তকে অবজ্ঞা করার কারণে বরিস জনসন আইনি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন তাঁরা।

সংসদে পাস হওয়া আইন অনুযায়ী, আগামী ১৯ অক্টোবরের মধ্যে ইইউর সঙ্গে চুক্তি করতে না পারলে অথবা চুক্তিবিহীন বিচ্ছেদ কার্যকরে সংসদের অনুমোদন লাভে ব্যর্থ হলে প্রধানমন্ত্রীকে অবশ্যই বিচ্ছেদের দিনক্ষণ পিছিয়ে দিতে ইইউর কাছে আবেদন করতে হবে। এর প্রতিক্রিয়ায় সরকারের তরফ থেকে ১৫ অক্টোবর সাধারণ নির্বাচনের প্রস্তাব করা হয়। কিন্তু বিরোধীরা সেই নির্বাচনে সমর্থন দেয়নি। প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন গতকাল দ্বিতীয় প্রচেষ্টা হিসেবে পার্লামেন্টে আবারও আগাম নির্বাচনের প্রস্তাব তোলেন। তবে দ্বিতীয়বারের চেষ্টাও ব্যর্থ হয়েছে। লেবার, লিবারেল ডেমোক্র্যাট, এসএনপি, গ্রিন পার্টি, প্লাইড কামরুসহ সংসদের সব বিরোধী দল মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে বিচ্ছেদের দিনক্ষণ পিছিয়ে দেওয়ার আগে নির্বাচন মানবে না।

আজ মঙ্গলবার বিবিসি অনলাইনের খবরে বলা হয়, ভোটাভুটির মধ্য দিয়ে পার্লামেন্টে পাঁচ সপ্তাহের বিরতি শুরু হলো। সরকারের আগাম নির্বাচনের প্রস্তাব পাসের জন্য ৪৩৪ ভোট প্রয়োজন ছিল। পক্ষে ভোট পড়েছে ২৯৩, বিপক্ষে পড়েছে ৪৬ এবং ভোট দেওয়া থেকে বিরত থেকেছেন ৩০৩ জন এমপি।

গত দুই দিনে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন একাধিকবার বলেছেন, তিনি কোনো অবস্থাতেই বিচ্ছেদের দিনক্ষণ পেছানোর আবেদন করবেন না। তিনি বলেছেন, ‘আমার হাত বাঁধার জন্য এই পার্লামেন্ট যতসংখ্যক ডিভাইসই আবিষ্কার করুক না কেন, জাতীয় স্বার্থে একটি চুক্তি পেতে আমি বিবাদে জড়াব। এই সরকার আর ব্রেক্সিটে দেরি করবে না।’