'মমতাকে পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি দেখে যেতে হবে'

দিলীপ ঘোষ ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি
দিলীপ ঘোষ ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, তিনি বেঁচে থাকতে বাংলায় জাতীয় নাগরিক নিবন্ধন (এনআরসি) কার্যকর করতে দেওয়া হবে না। তাঁর এ কথার প্রতিবাদে পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি হবেই। জীবিত থাকাকালেই মমতাকে এই রাজ্যে এনআরসি দেখে যেতে হবে।

এনআরসি বা আসামের জাতীয় নাগরিকপঞ্জি নিয়ে এখন উত্তাল পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি। একদিকে এনআরসির পক্ষে পথে নেমেছে বিজেপি আর অন্যদিকে এনআরসি বাতিলের দাবিতে পথে নেমেছে তৃণমূল কংগ্রেস।

গতকাল বৃহস্পতিবার কলকাতার সিঁথির মোড় থেকে শ্যামবাজার পর্যন্ত তৃণমূলের ডাকা এনআরসিবিরোধী মিছিলে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মিছিল শেষে শ্যামবাজারে এক প্রতিবাদ সভায় মমতা বলেন, ‘এই বাংলায় এনআরসি কার্যকর করতে দেওয়া হবে না। আমরা এনআরসি মানি না।’ তিনি বেঁচে থাকতে এই রাজ্যে এনআরসি চালু করতে দেওয়া হবে না বলে সাফ জানিয়ে দেন মমতা।

মমতার এই ঘোষণার পর চুপ থাকেননি বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। গতকাল বৃহস্পতিবারই তিনি এক সংবাদ সম্মেলনে পাল্টা চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলেন, পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি হবেই। জীবিত থাকাকালেই মমতাকে এই রাজ্যে এনআরসি দেখে যেতে হবে। যে বিদেশিদের পক্ষে মুখ্যমন্ত্রী কথা বলছেন, তাঁদের গলাধাক্কা দিয়ে এই রাজ্য থেকে বের করে দেওয়া হবে।

দিলীপ ঘোষ বলেন, ২ কোটি বাংলাদেশি মুসলিম অনুপ্রবেশকারী ভারতে ঢুকেছে। এর মধ্যে এক কোটি রয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। বাকিরা চেন্নাই, মুম্বাই, দিল্লি, জম্মু–কাশ্মীর পর্যন্ত চলে গেছে। এবার তাঁদের সবাইকে চিহ্নিত করে তাড়ানো হবে।

দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘আমরা কাউকে তাড়াতে চাই না। কিন্তু ভারতের উন্নয়নে যাঁরা বাধা দিচ্ছেন, আইনশৃঙ্খলায় বাধা দিচ্ছেন, এখানকার মানুষকে অতিষ্ঠ করে তুলছেন, সেসব অনুপ্রবেশকারীকে আমরা তাড়াব।’ পাশাপাশি তিনি এ কথাও বলেছেন, ‘ওপার বাংলার অত্যাচারিত, নিপীড়িতদের ভারতে থাকার সুযোগ দেব। হিন্দুদের নাগরিকত্ব দেব। তাড়াব মুসলিম ও রোহিঙ্গাদের।’

এনআরসি নিয়ে মমতার ক্ষমতা কতটুকু, সেই প্রসঙ্গ টেনে দিলীপ ঘোষ বলেছেন, ‘ওনার ক্ষমতা সবাই জেনে গিয়েছে। উনি নোট বাতিলের বিরোধিতা করেছেন। অভিন্ন কর ও পণ্য পরিষেবার (জিএসটি) বিরোধিতা করেছেন, জম্মু–কাশ্মীরের সংবিধানের ৩৭০ ধারা বিলোপের বিরোধিতা করেছেন, তিন তালাকেরও বিরোধিতা করেছেন। তবু তা পাস হয়েছে। বিরোধিতায় কাজ হয়নি।’

তিনি প্রশ্ন করেন, জিএসটিতে কি এই রাজ্য লাভবান হয়নি?