যুক্তরাজ্যে প্রাসাদ থেকে সোনার কমোডটি চুরি হয়ে গেল

ইতালির চিত্রকর মাউরিঝিও কাত্তেলানের তৈরি সোনার কমোডটি চুরি হয়ে গেছে। ছবি: রয়টার্স
ইতালির চিত্রকর মাউরিঝিও কাত্তেলানের তৈরি সোনার কমোডটি চুরি হয়ে গেছে। ছবি: রয়টার্স

১৮ ক্যারেট খাঁটি সোনার তৈরি ব্যবহার উপযোগী কমোডটি যুক্তরাজ্যের ব্লেনহেম প্রাসাদ থেকে চুরি হয়ে গেছে। বিদ্রূপাত্মক চিত্রকর্মের জন্য ইতালির খ্যাতনামা চিত্রকর মাউরিঝিও কাত্তেলান ভাস্কর্যটি তৈরি করেছিলেন। গত বৃহস্পতিবার শুরু হওয়া তাঁর এক চিত্র প্রদর্শনীতে অন্তর্ভুক্ত ছিল শিল্পকর্মটি। স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার ভোর পৌনে পাঁচটার দিকে কমোডটি চুরি হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

অক্সফোর্ডশায়ারে স্মৃতিস্মারক ব্লেনহেম প্রাসাদের টয়লেটে স্থাপিত ব্যবহার উপযোগী সোনার কমোডটির নাম ছিল ‘আমেরিকা’।

সিএনএনের খবরে কমোডটির দাম ৫০ লাখ মার্কিন ডলার (৪২ কোটি ২৪ লাখ টাকার বেশি) বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে কোনো কোনো গণমাধ্যমে এটিকে ১৮-১৯ লাখ ডলার বলা হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, টয়লেটে ঢুকে কমোডটি খুলে নিয়ে যাওয়ায় স্থানটি পানিতে ভেসে যায়। চুরির ঘটনায় ৬৬ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গোয়েন্দা পুলিশের কর্মকর্তা জেস মিলনে বলেছেন, উচ্চমূল্যের সোনার তৈরি কমোডের শিল্পকর্মটি প্রাসাদে প্রদর্শনের জন্য রাখা ছিল। একটি সংঘবদ্ধ চক্র এই চুরির সঙ্গে জড়িত। চুরির কাজে তারা কমপক্ষে দুটি গাড়ি ব্যবহার করেছিল বলে জানা গেছে। শিল্পকর্মটি এখনো উদ্ধার করা যায়নি, তবে এটি খোঁজা হচ্ছে। দোষীদের অবশ্যই বিচারের আওতায় আনা হবে।

যুক্তরাজ্যের ব্লেনহেম প্রাসাদে ছিল সোনার কমোডটি। ছবি: এএফপি
যুক্তরাজ্যের ব্লেনহেম প্রাসাদে ছিল সোনার কমোডটি। ছবি: এএফপি

১৮০০ শতাব্দীতে প্রতিষ্ঠিত প্রাসাদটি এখন বিশ্বের ঐতিহ্যগত স্থাপনার অন্তর্ভুক্ত। এই প্রাসাদে ১৮৭৪ সালের ৩০ নভেম্বর জন্ম নিয়েছিলেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী (১৯৪০-৪৫ মেয়াদে) স্যার উইনস্টন চার্চিল। চুরির ঘটনার পর প্রাসাদটি দর্শনার্থীদের জন্য তাৎক্ষণিকভাবে বন্ধ রাখা হয়। তবে এক টুইটে ব্লেনহেম প্রাসাদ আজ রোববার থেকে পুনরায় খোলা থাকবে বলে জানায়।

প্রাসাদে আগত দর্শনার্থীরা বিনা মূল্যে কমোডটি দেখার সুযোগ পেতেন। লম্বা লাইন এড়াতে একেকজনের জন্য তিন মিনিট করে সময় বেঁধে দেওয়া হতো।

প্রাসাদের প্রধান নির্বাহী ডমিনিক হেয়ার বলেন, এই ঘটনায় তাঁরা গভীরভাবে দুঃখিত।

সোনার কমোডটি ২০১৭ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে গ্রহণ করতে বলার জন্য আলোচিত ছিল।