বিসর্জন উপলক্ষে ইছামতী উৎসবমুখর

ইছামতী নদীতে দুই বাংলার প্রতিমা বিসর্জন। প্রথম আলো ফাইল ছবি
ইছামতী নদীতে দুই বাংলার প্রতিমা বিসর্জন। প্রথম আলো ফাইল ছবি

শারদীয় দুর্গাপূজার মহানবমী আজ সোমবার। আগামীকাল মঙ্গলবার দশমীতে বিসর্জন উপলক্ষে সীমান্তবর্তী নদী ইছামতী হয়ে উঠেছে উৎসবমুখর। এই নদীতে বাংলাদেশ ও ভারতের উভয় পারের দুর্গা প্রতিমা লঞ্চ, ট্রলার ও নৌকায় করে এনে আনন্দমুখর পরিবেশে বিসর্জন দেওয়া হয়। সীমান্তবর্তী নদীতে বিসর্জনের এই রীতি চলছে অনেক দিন থেকেই।

বিসর্জন ঘিরে যাতে কোনো অনুপ্রবেশ না ঘটে, সেদিকে লক্ষ রেখে এবার কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের প্রশাসন। ভারতীয় নৌ সীমান্তে, অর্থাৎ নদীর মাঝ বরাবর লাল সুতার বাধা তৈরি করবে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। একই সঙ্গে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশও (বিজিবি) নদী সীমান্তে ব্যারিকেড দেবে। দুই ব্যারিকেডের মাঝে ১০০ ফুট জায়গা থাকবে। সেখানে কোনো দেশেরই নৌকা, লঞ্চ বা ট্রলার ঢুকতে পারবে না।

ইছামতী নদীর এই বিসর্জন দীর্ঘদিন ধরে চলছে। দশমীর বিসর্জনের দিনের আগেও দুই বাংলার মানুষ এক হতো। শুভেচ্ছা বিনিময় করত। তবে বিসর্জনের সময় অতীতে কিছু অনুপ্রবেশ ঘটত। তাই দুই দেশের প্রশাসন এবার নজরদারি কড়া করেছে।

ইছামতী নদীর এই বিসর্জন দেখতে প্রতিবছরই দেশ-বিদেশের প্রচুর পর্যটক আসেন। তাঁরা নৌকা, লঞ্চ ও ট্রলারে করে দেবী দুর্গার বিসর্জন দেখেন। বাংলাদেশের পাড়েও দুর্গা প্রতিমা নিয়ে আসা হয় নৌকা ও লঞ্চ বা ট্রলারে করে। দুই দেশের মানুষ নাচগান আনন্দের মধ্যে দিয়ে মাঝনদীতে দেবী দুর্গাকে বিসর্জন দেন।

এবারও ইছামতী নদীর বিসর্জন দেখতে বহু দেশি-বিদেশি পর্যটক আসবেন। এর মধ্যে এই এলাকার সব হোটেল বুক হয়ে গেছে। থাকার জায়গা নেই।

দুপারের দুর্গা প্রতিমার বিসর্জন হবে কাল মঙ্গলবার দশমীর দিন বেলা ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে। বিসর্জনের জন্য নদীর তীরে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখানে মেডিকেল টিমও থাকবে।

টাকি পৌরসভার চেয়ারম্যান সোমনাথ মুখোপাধ্যায় বলেছেন, এবার মাঝনদীতে দুই দেশের ব্যারিকেড থাকবে। কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা থাকবে ।