আসামে বন্দিশিবিরে আরও একজনের মৃত্যু

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

আসামের একটি বন্দিশিবিরে গতকাল বৃহস্পতিবার আরও এক বন্দীর মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে আসামের বিভিন্ন বন্দিশিবিরে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭-এ।

গতকাল মারা যাওয়া বন্দীর নাম ফালু দাস (৭০)। গুয়াহাটির মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন তিনি। তাঁর বাড়ি আসামের নলবাড়ি জেলার চাতেমাড়ি গ্রামে। অবৈধ বাংলাদেশি তকমা লাগিয়ে তাঁকে আসামের বন্দিশিবিরে গ্রেপ্তার করে রাখা হয়েছিল।

আসামের তেজপুর, গোয়ালপাড়া, শিলচর, ডিব্রুগড়, কোকড়াঝাড় ও জোরহাট জেলায় এই বন্দিশিবিরগুলো স্থাপন করা হয়েছে। এর মধ্যে তেজপুর ও গোয়ালপাড়া বন্দিশিবিরে এখন পর্যন্ত যথাক্রমে ১০ ও ১১ জন বন্দী মারা গেছেন। এ ছাড়া শিলচর বন্দিশালায় ৩ জন, কোকড়াঝাড়ে ২ জন এবং জোরহাটে ১ জন মারা গেছেন। ডিব্রুগড় বন্দিশালায় এখন পর্যন্ত কেউ মারা যাননি।

আজ শুক্রবার সকালে আসামের মানবাধিকার সংগঠন ‘আমরা বাঙালি’র সচিব এবং নাগরিক অধিকার রক্ষা কমিটির সচিব প্রধান সাধন পুরকায়স্থ প্রথম আলোকে বলেন, আসামের ৬টি বন্দিশিবিরে না খেয়ে ও কারারক্ষীদের জুলুমের শিকার হয়ে ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এসব ঘটনার জন্য আসামের বিজেপি সরকারের মুখ্যমন্ত্রী সদানন্দ সনোয়ালকে দায়ী করেন তিনি। রাজ্য সরকার সাধারণ মানুষকে ‘বিদেশি’ বানিয়ে হত্যা করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

মৃত এই ২৭ জনের মধ্যে ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বর্তমান বিজেপি সরকারের আমলে। আর এই ২৭ জনের মধ্যে হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ সমান ১৩ জন করে। বাকি একজন অন্য সম্প্রদায়ের। আসামের ৬টি কারাগারে থাকা বিদেশিদের, বিশেষ করে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের বন্দী রাখার জন্য এই বন্দিশিবির বা ডিটেনশন ক্যাম্পগুলো তৈরি করা হয়েছে।