ছেলের নোবেল পদক প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকছেন মা

অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: রয়টার্স
অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: রয়টার্স

ছেলে অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নোবেল পদক প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকছেন মা নির্মলা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী ১০ ডিসেম্বর সুইডিশ একাডেমি রাজধানী স্টকহোমে এক রাজকীয় অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নোবেল পদক তুলে দেবে বিজয়ীদের হাতে। সেই অনুষ্ঠানে ছেলের অনুরোধে উপস্থিত থাকবেন নির্মলা।

এ বছর অর্থনীতিতে দ্বিতীয় বাঙালি হিসেবে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি ছাড়াও আরও দুজন নোবেল পেয়েছেন। তাঁরা হলেন ফরাসি বংশোদ্ভূত এস্থার দুফলো ও মাইকেল ক্রেমার। অভিজিতের সহধর্মিণী হলেন এস্থার। তাঁরা এখন যুক্তরাষ্ট্রে থাকছেন।

পদক প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় মাকে অনুরোধ করেন। মা নির্মলা মুখোপাধ্যায় তাতে সাড়া দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘এটা তো আমার কাছে এক গর্বের কথা। আমার পুত্র এবং পুত্রবধূ একসঙ্গে নোবেল পদক পাচ্ছেন সেই গর্ব এবং আনন্দ আমাকে অভিভূত করেছে। আরও ভালো লাগত যদি অভিজিতের বাবা বেঁচে থাকতেন! আমি পুত্রের নোবেল প্রদান অনুষ্ঠানে থাকব।’

পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানের আগেই মা নির্মলা বন্দ্যোপাধ্যায় চলে যাবেন যুক্তরাষ্ট্রে। তারপর নোবেল পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তাঁরা।

অভিজিতের মা নির্মলা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ছিলেন অর্থনীতির অধ্যাপক। বাবা দীপক বন্দ্যোপাধ্যায়ও ছিলেন কলকাতার তৎকালীন প্রেসিডেন্সি কলেজের অর্থনীতি বিভাগের প্রধান।

নোবেলজয়ী অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখাপড়া কলকাতায়। যদিও অভিজিতের জন্ম মুম্বাইতে ১৯৬১ সালে হলেও তাঁর শৈশব কেটেছে কলকাতায়। সাউথ পয়েন্ট স্কুলে পড়াশোনা। এরপর প্রেসিডেন্সি কলেজে থেকে অর্থনীতিতে ডিগ্রি নিয়ে চলে যান দিল্লি জওহরলাল বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর পড়তে। সেখান থেকে তিনি চলে যান বিদেশে। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৮ সালে ‘ইনফরমেশন ইকোনমিকস’–এর ওপর তিনি পিএইচডি করেন। অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের দারিদ্র্য দূরীকরণ নিয়ে তাঁর লেখা ‘পুওর ইকোনমিকস’ বইটি বিশ্বব্যাপী সমাদৃত হয়। আরেক নোবেল বিজয়ী বাঙালি অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক অমর্ত্য সেনও বইটির প্রশংসা করেন।