মণিপুরে প্রবাসী সরকার গঠন, সাবেক মহারাজার বিরোধিতা

ভারতের মণিপুরের সাবেক মহারাজা লেইশেম্বা সানাজাওবা। স্বাধীনতার ঘোষণা ও প্রবাসী সরকার গঠনের বিরোধিতা করেছেন তিনি। ছবি: ভিডিও বার্তা থেকে সংগৃহীত
ভারতের মণিপুরের সাবেক মহারাজা লেইশেম্বা সানাজাওবা। স্বাধীনতার ঘোষণা ও প্রবাসী সরকার গঠনের বিরোধিতা করেছেন তিনি। ছবি: ভিডিও বার্তা থেকে সংগৃহীত

ভারতের মণিপুর রাজ্যের স্বাধীনতা ঘোষণা করে একটি প্রবাসী সরকার গঠন করা হয়েছে। যুক্তরাজ্যের লন্ডনে সংবাদ সম্মেলন করে এ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। শুরুতে তাতে মণিপুর রাজ্যের সাবেক মহারাজার সংশ্লিষ্টতার কথা জানানো হয়েছিল। কিন্তু এর পরপরই এক ভিডিও বার্তায় এমন কাজের সঙ্গে নিজের জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন সাবেক মহারাজা লেইশেম্বা সানাজাওবা।

হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে আজ বুধবার এ খবর জানানো হয়েছে। এদিনই মণিপুরের সাবেক মহারাজা এক ভিডিও বার্তায় প্রবাসী সরকারের সঙ্গে নিজের দূরত্বের কথা ঘোষণা করেছেন। ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, প্রবাসী সরকার গঠনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ইয়ামবেন বীরেন ও নরেংবাম সমরজিতের অনুরোধে কিছু নথিপত্রে তিনি স্বাক্ষর করেছিলেন। কিছু গবেষণাকাজের অনুমতির জন্য ওই নথিপত্রে স্বাক্ষরের প্রয়োজন ছিল বলে জানিয়েছিলেন বীরেন ও সমরজিৎ। এর বেশি কিছু জানেন না বলে দাবি করেছেন মণিপুরের সাবেক মহারাজা।

যুক্তরাজ্যে মণিপুরের প্রবাসী সরকার গঠনের দাবি করেছেন বীরেন ও সমরজিৎ। বীরেন নিজেকে এই প্রবাসী সরকারের মুখ্যমন্ত্রী ও সমরজিৎ নিজেকে পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে দাবি করছেন। প্রবাসী সরকারের নাম দেওয়া হয়েছে ‘দ্য মণিপুর স্টেট কাউন্সিল’।

সাবেক মহারাজা লেইশেম্বা সানাজাওবা বলেছেন, এ ঘটনার খবর শুনে তিনি স্তম্ভিত এবং বিস্মিত হয়েছেন।

অন্যদিকে মণিপুরের প্রবাসী সরকারের জন্য সমর্থন আদায়ে বীরেন ও সমরজিৎ রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের কাছে যাবেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। প্রবাসী সরকারের জন্য সমর্থন আদায়ে পরে তাঁরা জাতিসংঘের স্বীকৃতির জন্য আবেদন করবেন বলেও জানিয়েছেন।