জাপানে কর্মস্থলে নারীদের চশমা পরা মানা

ছবিটি প্রতীকী। ছবি: সংগৃহীত
ছবিটি প্রতীকী। ছবি: সংগৃহীত

জাপানে কর্মজীবী নারীদের কর্মস্থলে চশমা পরায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে কিছু প্রতিষ্ঠান। এ নিয়ে দেশটিতে শুরু হয়েছে আলোড়ন, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে চলছে আলোচনা। অনেক কর্মজীবী নারীই এ ধরনের নিষেধাজ্ঞার সরাসরি সমালোচনা করছেন।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কিছু কোম্পানি সম্প্রতি নারী কর্মীদের চশমা পরায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এর পেছনে নানা কারণ তুলে ধরেছে প্রতিষ্ঠানগুলো। কিছু খুচরা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান বলছে, চশমা পরার কারণে ক্রেতাদের প্রতি দোকানের কর্মচারীদের অভিব্যক্তি ‘খুব শীতল’ হয়। কোম্পানিগুলোর দাবি, এতে ক্রেতাদের মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।

এদিকে জাপানের নিপ্পন টিভি নেটওয়ার্ক ও বিজনেস ইনসাইডার জাপানের কর্মজীবী নারীদের চশমা পরার ক্ষেত্রে কীভাবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বাধা দিচ্ছে, তা নিয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ওই সব প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিরাপত্তাজনিত কারণে এয়ারলাইনস কোম্পানিতে কর্মরত নারীদের চশমা পরতে দেওয়া হচ্ছে না। আবার চশমা পরলে নারীদের সৌন্দর্য ঠিকভাবে প্রকাশিত হয় না—এমন দাবি করেও জাপানে নারীদের চশমা পরায় বাধা দেওয়া হচ্ছে।

তবে এটি স্পষ্ট নয় যে, কোম্পানিগুলো তাদের নীতির ভিত্তিতে নারীদের চশমা পরায় বাধা দিচ্ছে, নাকি বিভিন্ন সামাজিক প্রথাকেই কোম্পানিতে টেনে আনছে। এ বিষয়ে কোম্পানিগুলোর দায়িত্বশীল কেউ সেভাবে মন্তব্যও করছেন না।

এদিকে এমন ঘটনায় জাপানের সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়েছে। এর বিরুদ্ধে টুইটারে দেওয়া হচ্ছে হ্যাশট্যাগ। বলা হচ্ছে, জাপানের মানুষেরা ‘বাতিল’ হয়ে যাওয়া বিভিন্ন নীতির চর্চা করছেন। এর পেছনে কোনো যৌক্তিক কারণ নেই। বরং শুধু লিঙ্গবৈষম্যের কারণেই এমন নীতি চালু করছে কোম্পানিগুলো।

এর আগেও জাপানের নারীদের বিশেষায়িত ড্রেস কোড নিয়ে আন্দোলন হয়েছে। কিছুদিন আগে কর্মস্থলে হাই হিল জুতা পরার বাধ্যবাধকতা প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলন করেছিলেন দেশটির কর্মজীবী নারীরা। এবার চশমা পরায় নিষেধাজ্ঞা নিয়ে শুরু হলো নতুন বিতর্ক।