বার্লিনে বিভেদের প্রাচীর ভাঙার আহ্বান

বার্লিন প্রাচীর পতনের সময় নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্বালন করেন জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলসহ অন্যরা। বার্লিন, জার্মানি, ৯ নভেম্বর। ছবি: রয়টার্স
বার্লিন প্রাচীর পতনের সময় নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্বালন করেন জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলসহ অন্যরা। বার্লিন, জার্মানি, ৯ নভেম্বর। ছবি: রয়টার্স

ক্রোধ, ঘৃণা ও হতাশা দিয়ে আবারও নতুন করে প্রাচীর তৈরির প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে সতর্ক করে দিয়েছেন জার্মানির রাজনীতিকেরা। দেশটির রাজধানীর বার্লিন তোরণের পাশে হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতিতে প্রাচীর পতনের ৩০ বছর স্মরণানুষ্ঠানে বক্তারা এই সতর্কতার কথা বলেন।

বার্লিন প্রাচীর পতনের কেন্দ্রীয় অনুষ্ঠানে শনিবার জার্মান প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্ক ভাল্টার স্টাইনমায়ার, চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল ও প্রতিবেশী পূর্ব ইউরোপের পোল্যান্ড, হাঙ্গেরি, চেক প্রজাতন্ত্র ও স্লোভেনিয়ার প্রেসিডেন্ট উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল বলেন, ‘বিভেদের প্রাচীর যতই প্রশস্ত বা উঁচু হোক, তা ভেঙে ফেলা সম্ভব। আমাদের অবশ্যই দৃঢ়তার সঙ্গে ঘৃণা, বর্ণবাদ ও ধর্মবিরোধের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। গণতন্ত্র, স্বাধীনতা, মানবিক মর্যাদা ও আইনের শাসন রক্ষার জন্য সব ক্ষমতা প্রয়োগ করতে হবে।’

গণতন্ত্রের পক্ষে লড়াই ও আজকের সমাজব্যবস্থায় নতুন করে গড়ে ওঠা প্রাচীর ভাঙার আহ্বান জানান জার্মানির প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্ক ভাল্টার স্টাইনমায়ার। তিনি সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট মিখাইল গর্বাচেভের পেরেস্ত্রোইকা নীতি ছাড়াও পোল্যান্ড, হাঙ্গেরি ও চেকোস্লোভাকিয়ায় সংস্কার আন্দোলনের প্রশংসা করেন এবং বার্লিনের প্রাচীর পতনে তাদের অবদানের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। ফ্রাঙ্ক ভাল্টার স্টাইনমায়ার বলেন, ‘৩০ বছর আগে স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের সপক্ষের দেশগুলো শান্তিপূর্ণ বিপ্লব ও সংস্কার আন্দোলন জার্মান জাতির ঐক্যকে শক্তি ও সাহস জুগিয়েছিল। তবে এখন আমাদের দেশে ক্রোধ, বিদ্বেষ আর বর্ণবাদের প্রাচীর তৈরি হয়েছে। এসব রুখে দিতে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।’

অনুষ্ঠানটি শুরু হওয়ার আগে ১৯৬১ সালে জার্মানির পূর্ব-পশ্চিমের মধ্যে প্রথম বার্লিন প্রাচীর নির্মাণস্থলে মোমবাতি প্রজ্বালন ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।