রাগে-হতাশায় ট্যাগ খুলে তিনি জেলে

ছবিটি প্রতীকী। ছবি: রয়টার্স
ছবিটি প্রতীকী। ছবি: রয়টার্স

কাজের লোক যতজন ছিল, তাতে কাজ সামলানো যাচ্ছিল না। কর্তৃপক্ষকে বারবার বলা হয়েছে। কিন্তু কে শোনে কার কথা! কম লোক দিয়েই চালানো হচ্ছিল কাজ। কাঁহাতক আর সহ্য করা যায়। শেষে বিদ্রোহ করে বসলেন একজন।

সেই একজন হলেন তাই বুন কে। ৬৬ বছর বয়সী এই ব্যক্তি কাজ করতেন সিঙ্গাপুরের চাংগি এয়ারপোর্টের ব্যাগপত্তর গোছানোর বিভাগে। এই বিভাগে আরও বেশি লোক চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু কর্তৃপক্ষ তাতে কান দেয়নি। ধীরে ধীরে তাঁর মনে জমা হচ্ছিল ক্ষোভ। রাগে ও হতাশায় একসময় তিনি উল্টোপাল্টা কাজ শুরু করলেন। বিভিন্ন ব্যাগে লাগানো ট্যাগ তিনি ছিঁড়ে ফেলতে লাগলেন। ফলে, ব্যাগগুলো যেখানে যাওয়ার কথা, সেখানে আর যায়নি। গিয়েছিল ভুল গন্তব্যে।

বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়েছে, এই ঘটনা অবশেষে কর্তৃপক্ষের নজরে এসেছে। দায়ী তাই বুন কে অপরাধ স্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, প্রয়োজনীয় লোক চেয়েও না পাওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন তিনি। তাই ইচ্ছা করেই বিভিন্ন ব্যাগে লাগানো ট্যাগ ছিঁড়ে ফেলেছিলেন। ২০১৬ সালের নভেম্বর থেকে ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত এই কাজ ধারাবাহিকভাবে করেছিলেন তিনি।

সম্প্রতি স্থানীয় আদালতে এই অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে। চাংগি এয়ারপোর্ট ব্যবহার করা সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস ও সিল্কএয়ারের যাত্রীদের ব্যাগগুলোর ক্ষেত্রে এমন করেছিলেন তাই বুন কে। প্রায় ৩০০ ব্যাগে লাগানো প্রয়োজনীয় ট্যাগ ছিঁড়ে ফেলেছিলেন তিনি।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, অবসাদজনিত মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন তাই বুন কে। শুনানি শেষে ও সাক্ষ্য শুনে আদালত তাঁকে ২০ দিনের কারাদণ্ড দিয়েছেন।