মিসরের মরুতে গড়ে উঠছে আকাশমুখী বন

চীনের দূষণে ভরা শহরগুলোতে আকাশমুখী এ ধরনের বন জনপ্রিয় হয়েছে। ছবি: রয়টার্স
চীনের দূষণে ভরা শহরগুলোতে আকাশমুখী এ ধরনের বন জনপ্রিয় হয়েছে। ছবি: রয়টার্স

মিসরের মরুভূমি এলাকায় প্রথমবারের মতো খাড়া বন গড়ে তোলা হচ্ছে। কায়রোর পূর্বে মরুভূমিতে এই উল্লম্ব বনের কাজ চলছে। ইতালীয় স্থপতি এবং নগর-পরিকল্পনাবিদ স্তেফানো বোয়েরি তিনটি ভবনে দূষণপ্রতিরোধী গাছ লাগানোর নকশা করেছেন।

রয়টার্সের খবরে জানা যায়, স্তেফানো বোয়েরি বিশ্বের বিভিন্ন শহরে এ ধরনের খাড়া ওপরের দিকে ওঠা বনের নকশা করেছেন। তবে মিসরের প্রকল্পটি আফ্রিকা মহাদেশে প্রথম। স্তেফানো মিসরীয় নকশাবিদ সিমা সালাস ও ইতালীয় স্থপতি লরা গাতির সঙ্গে সমন্বিতভাবে সাততলা ভবনগুলোতে এই বনের নকশা করছেন।

ভবনগুলোতে স্তরে স্তরে ৩৫০টি গাছ লাগানো হবে। শতাধিক প্রজাতির ১৪ হাজার গুল্মও লাগানো হবে। তিনটি ভবনের একটি হোটেল হবে। অন্য দুটি হবে বসবাসের।

পরিকল্পিত নতুন প্রশাসনিক রাজধানীতে মন্ত্রণালয়, দূতাবাস, আবাসিক এলাকা গড়ে তোলা হবে। গড়ে তোলা হবে অর্থনৈতিক এলাকা। নতুন এই রাজধানী বর্তমান রাজধানী কায়রোর স্থলাভিষিক্ত হবে। জনজট, যানজট ও বায়ুদূষণের কারণে কায়রো মানুষের বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে।

বোয়েরি বলছেন, মাত্র কয়েক শ বর্গমিটার এলাকায় কয়েক হাজার বর্গমিটারব্যাপী এই বন হবে। বনে পাখি ও পোকামাকড় থাকবে। এসব গাছ, গুল্ম কার্বন ডাই-অক্সাইড শোষণ করবে এবং অক্সিজেন ছাড়বে। এতে বাতাসে ধুলার পরিমাণ কমে যাবে।

২০১৪ সালে ইতালির মিলানে বস্কো ভার্টিকাল টাওয়ারের নকশা অনুযায়ী এই পরিকল্পনা করা হয়েছে। ওই টাওয়ারে ৯০০টি গাছ, ২০ হাজারের বেশি ছোট গাছ ও গুল্ম রয়েছে। গত কয়েক বছরে বড় বড় শহরে সবুজ স্থাপনা তৈরির প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।

চীনের দক্ষিণাঞ্চলের গুয়াংঝি প্রদেশে লিউঝো ফরেস্ট সিটি নির্মাণাধীন। এটিরও পরিকল্পনাবিদ বোয়েরি। এই ভবনগুলোতে ৪০ হাজারের বেশি গাছ থাকবে। ১০ লাখের মতো গাছপালা ভবনগুলোকে আবৃত করে রাখবে।

লিউঝো ফরেস্ট সিটির গাছ ও লতাগুল্ম বছরে ১০ হাজার টন কার্বন ডাই-অক্সাইড শোষণ করবে। ৯০০ টনের বেশি অক্সিজেন উৎপাদন করবে।

নেদারল্যান্ডসে বোয়েরি ১৯ তলাবিশিষ্ট ট্রুডো ভার্টিকাল ফরেস্টের নকশা করেছেন। সেখানে আবাসনের জন্য ১২৫টি ইউনিট থাকবে। নিম্ন আয়ের পরিবারগুলো সেখানে বসবাস করবে।