৪০ বছর আগের ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী

নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন। ছবি: এএফপি
নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন। ছবি: এএফপি

৪০ বছর আগে একটি উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে ২৫৭ জনের প্রাণহানির ঘটনায় ক্ষমা চেয়েছেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন। বৃহস্পতিবার দেশটির অকল্যান্ড শহরের এক সরকারি ভবনে ওই দুর্ঘটনা স্মরণ অনুষ্ঠানে আরডার্ন ক্ষমা প্রার্থনা করেন।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৭৯ সালের ২৮ নভেম্বর এয়ার নিউজিল্যান্ড ফ্লাইট ৯০১ অকল্যান্ড থেকে উড্ডয়নের পর যুক্তরাষ্ট্রের অ্যান্টার্কটিক গবেষণা ঘাঁটির কাছাকাছি বিধ্বস্ত হয়। এতে ২৩৭ জনের বেশি যাত্রী ও ২০ জন ক্রু নিহত হয়েছিলেন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে নিউজিল্যান্ড ছাড়াও আমেরিকা, কানাডা, জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক ছিলেন।

বৃহস্পতিবারের স্মরণসভায় প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন বলেন, ওই ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের বেদনা ও শোকের কারণ ছিল তৎকালীন সরকার ও সংশ্লিষ্ট বিমান সংস্থার পদক্ষেপ। ঘটনাটির ৪০ বছর পর আজকের সরকারের পক্ষ থেকে সরকার মালিকানাধীন ওই এয়ারলাইনসের পদক্ষেপের জন্য ক্ষমা চাওয়ার সময় এসেছে। তবে ওই দুঃখজনক দুর্ঘটনার জন্য পাইলটরা দায়ী ছিলেন না।

ওই ঘটনায় নিউজিল্যান্ডের রয়্যাল কমিশনের করা তদন্ত প্রতিবেদন ঘটনার প্রায় ২০ বছর পর দেশটির পার্লামেন্টে উপস্থাপন করা হয়েছিল। তখন সেই প্রতিবেদন সরকারের কাছে গৃহীত হয়নি বলে জানান জেসিন্ডা আরডার্ন।

ওই উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের ঘটনায় প্রাথমিকভাবে পাইলটদের দায়ী করা হয়েছিল। তবে এর প্রতিবাদ জানিয়েছিল দেশটির সাধারণ জনতা। পরে রয়্যাল কমিশন এ দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু করে। তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে আসে ওই উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের প্রকৃত কারণ। জানা যায়, উড়োজাহাজের ক্রুদের পরামর্শ ছাড়াই ওই উড়োজাহাজটির নেভিগেশন–ব্যবস্থা পুনর্বিন্যাস করা হয়েছিল। এ কারণেই উড়োজাহাজটি দুর্ঘটনায় পড়ে।

এর আগে ২০০৯ সালে এয়ার নিউজিল্যান্ড কর্তৃপক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর কাছে ক্ষমা চায়। বৃহস্পতিবারও সংস্থাটির চেয়ারম্যান থেরেসে ওয়ালশ সেই ঘটনার জন্য দুঃখপ্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ৪০ বছর আগে সংস্থার ব্যর্থতায় যাত্রী ও উড়োজাহাজের কর্মীদের প্রাণ বাঁচানো যায়নি। এ জন্য প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে তিনি ক্ষমা প্রার্থী।