সিডনিতে ট্রাম চালু

প্রথম আলো ফাইল ছবি
প্রথম আলো ফাইল ছবি

অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে বহু প্রতীক্ষার পর আজ শনিবার ট্রাম চালু হয়েছে। সিডনির অপেরা হাউসের কাছে সার্কুলার কি থেকে পূর্ব শহরতলি র‍্যান্ডউইক পর্যন্ত চলাচল করবে লাইট রেল নামের ট্রাম পরিষেবাটি। প্রায় চার বছরের নির্মাণকাজ শেষে আজ স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় আনুষ্ঠানিকভাবে এর উদ্বোধন করা হয়।

উদ্বোধন উপলক্ষে আজ শনিবার ও কাল রোববার ট্রামে চড়তে টাকা লাগবে না।

উদ্বোধনের পর জনসাধারণ বহুপ্রতীক্ষিত ট্রামে চলাচল শুরু করেছে। এর আগে গতকাল শুক্রবার উদ্বোধন উপলক্ষে স্টেশনগুলোতে চূড়ান্ত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং সাজানোর কাজ চলে। ১৯৬১ সালের পর এই প্রথম আবার এই ট্রাম সার্ভিস চালু হলো।

একুশ শতকে এসে উনিশ শতকের এই লাইট রেল কেন নির্মাণ হচ্ছে, এ নিয়ে বিতর্ক চলছে এখনো। উদ্বোধন উপলক্ষে সিডনির নিউ সাউথ ওয়েলসের প্রিমিয়ার (মুখ্যমন্ত্রী) গ্লাডিস বেরেজিক্লিয়ান বলেন, ‘এই হালকা রেল আমাদের শহরকে পুনরুজ্জীবিত করবে।’ তিনি বলেন, ‘এটি একটি কঠিন প্রকল্প ছিল। কিন্তু আজ আমি রোমাঞ্চিত। কারণ স্বপ্ন এখন বাস্তব।’

সমালোচকেরা অবশ্য এই মন্তব্য ইতিবাচকভাবে নেননি। তাঁরা এটিকে সিডনির অন্যতম সমস্যাযুক্ত গণপরিবহন প্রকল্প হিসেবে চিহ্নিত করছেন।

র‍্যান্ডউইকে বসবাসরত বাংলাদেশি অভিবাসী আফসার খান ট্রাম চালু হওয়ায় খুব খুশি। তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে নির্মাণকাজ দেখছি, কিছুটা বিরক্ত লাগছিল। তবে আজ ট্রাম চলাচল খুব ভালো লাগছে।’

২০১২ সালে প্রকল্পের বাজেট ধরা হয়েছিল ১ দশমিক ৬ বিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান ডলার কিন্তু শেষ পর্যন্ত খরচ প্রায় দ্বিগুণ ২ দশমিক ৯ বিলিয়নে গিয়ে ঠেকেছে। শুধু খরচ নয় ধীরগতিসম্পন্ন এই গণপরিবহনটি প্রায় ১২ কিলোমিটার রাস্তা সার্কুলার কি থেকে র‍্যান্ডউইক আসতে সময় নেবে ৫০ মিনিট। গন্তব্যে পৌঁছাতে বাস থেকে ট্রামে ২০ মিনিট সময় বেশি লাগবে।

ট্রামটি ১৯ স্টেশনে থামবে। সপ্তাহের প্রতিদিন ভোর ৫টা থেকে গভীর রাত ১টা পর্যন্ত চলবে। প্রতি ৪ থেকে ৮ মিনিট পরপর চলাচল করা ট্রামটি ঘণ্টায় ১৩ হাজার ৫০০ যাত্রী বহন করতে পারবে। প্রতিটি ট্রাম ৯টি বাসের সমান ৪৫০ জন যাত্রী ধারণ করতে পারবে। এই প্রকল্পের দ্বিতীয় স্তর কিংসফোর্ড লাইনটি মার্চে চালু হবে।