৮৮ হাজার ডলার চুরি, তায় আবার সিনাজুরি

প্রতীকী ছবি। রয়টার্স
প্রতীকী ছবি। রয়টার্স

কোনো ব্যাংকের ভল্ট থেকে টাকা চুরির পর তার কথা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানিয়ে দেওয়াটা নিশ্চয় কাজের কথা নয়। কিন্তু সেই কাজই করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলাইনার এক ব্যাংককর্মী। আক্ষরিক অর্থেই চুরি করে সিনাজুরি করেছেন তিনি। ফলে, পারও পাননি। আরল্যান্ডো হ্যান্ডারসন নামের ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সঙ্গে সঙ্গেই।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, নর্থ ক্যারোলাইনার অ্যাটর্নি কার্যালয় এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়েছে, নর্থ ক্যারোলাইনার আরল্যান্ডো হ্যান্ডারসন নামের এক ব্যাংককর্মী নিজের ব্যাংকের ভল্ট থেকেই ৮৮ হাজার ডলার চুরি করেছেন। চুরি করেই তিনি ক্ষান্ত হননি। চুরির অর্থ নিয়ে নিজে নেচেছেন, নাচিয়েছেন নোটের তাড়া। আর এই নৃত্যরত অবস্থার ভিডিওটি শেয়ার করেছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।

নর্থ ক্যারোলাইনার অ্যাটর্নি কার্যালয় জানায়, চলতি বছর অন্তত ১৮টি পৃথক চেষ্টায় মোট ৮৮ হাজার ডলার ব্যাংকের ভল্ট থেকে সরান হ্যান্ডারসন। সম্প্রতি চুরির এই অর্থসহ একটি ভিডিও তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করেন। পরে তাঁকে গ্রেপ্তার করে মার্কিন কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা-এফবিআই।

হ্যান্ডারসন অবশ্য একটি ভিডিও প্রকাশ করেননি। চলতি বছরের জুলাই-আগস্ট সময়ে নগদ অর্থ হাতে একাধিক ভিডিও পোস্ট করেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে নোটের তাড়া হাতে তাঁর একাধিক ভিডিও ভাইরাল হয়। এখানেই শেষ নয়, চুরি করা ওই অর্থে ডাউনপেমেন্ট করে একটি মার্সিডিজ বেঞ্জ কেনার চেষ্টা করেন তিনি। ওই গাড়ি কিনতে গিয়ে ঋণ নেওয়ার সময়ও ভুল তথ্য দেন। বিলাসবহুল গাড়ি ক্রয়ে নেওয়া ঋণে এ ভাঁওতা দিয়েই বলা যায় নজরে পড়ে যান তিনি।

হ্যান্ডারসনের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে তাঁর একটি ছবি পাওয়া গেছে, যেখানে তাঁকে মার্সিডিজ বেঞ্জের পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। ওই গাড়ি তিনি কাকে ভাঁওতা দিয়ে কিনেছেন, নাকি গাড়িটি অন্য কারও তা অবশ্য এখনো জানা যায়নি।

এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে হ্যান্ডারসনের আইনজীবীর সঙ্গে ই-মেইল ও ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে সিএনএন। কিন্তু ওই পক্ষ থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।