সিএএ এবং এনআরসির বিরুদ্ধে কলকাতায় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

কলকাতায় বিজেপির কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভের সময় শিক্ষার্থীদের বাধা দেয় পুলিশ। নতুন নাগরিকত্ব আইন ও এনআরসির বিরুদ্ধে দেশজুড়ে বিক্ষোভ চলছে। ভারত, ২১ ডিসেম্বর, ছবি: রয়টার্স
কলকাতায় বিজেপির কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভের সময় শিক্ষার্থীদের বাধা দেয় পুলিশ। নতুন নাগরিকত্ব আইন ও এনআরসির বিরুদ্ধে দেশজুড়ে বিক্ষোভ চলছে। ভারত, ২১ ডিসেম্বর, ছবি: রয়টার্স

ভারতের সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) ও জাতীয় নাগরিক নিবন্ধন (এনআরসি)এর বিরুদ্ধে আজ শনিবার উত্তাল হয়ে ওঠে কলকাতা। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ মিছিল করে। এ আইন বাতিল না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। যুব কংগ্রেসের কর্মী ও সমর্থকেরা প্রতিবাদী মিছিল নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপালের বাসভবনে ঢুকতে গেলে পুলিশের সঙ্গে ধ্বস্তাধ্বস্তির ঘটনা ঘটে। তাঁরা রাজভবনের ফটকের কাছে বসে অবস্থান নেন। এ ছাড়া অল বেঙ্গল ইমাম নামের একটি সংগঠন ইমামদের নিয়ে একটি প্রতিবাদ মিছিল বের করে।

বিকেলে প্রতিবাদ মিছিল বের করে কলকাতার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থীরা। বিভিন্ন ব্যানার, ফেস্টুন, প্লাকার্ড নিয়ে শিক্ষার্থীরা ধর্মতলা থেকে মিছিলটি বের করে। এটি সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ ধরে বিজেপির রাজ্য দপ্তরের পাশ দিয়ে মহাজাতি সদন পর্যন্ত যায়।

এদিকে মিছিল থেকে বিজেপি অফিসে হামলা হতে পারে এমন আশঙ্কায় পুলিশ কলকাতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সংলগ্ন বিজেপি অফিসের কাছে ব্যারিকেড দেয়। শিক্ষার্থীরা বাঁশের ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়।

ভারতের সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) ও জাতীয় নাগরিক নিবন্ধন (এনআরসি)এর প্রতিবাদে কলকাতার অল বেঙ্গল ইমাম নামের একটি সংগঠন মিছিল বের করে। ২১ ডিসেম্বর। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি।
ভারতের সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) ও জাতীয় নাগরিক নিবন্ধন (এনআরসি)এর প্রতিবাদে কলকাতার অল বেঙ্গল ইমাম নামের একটি সংগঠন মিছিল বের করে। ২১ ডিসেম্বর। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি।

এই মিছিল থেকে জানানো হয়, ধর্মনিরপেক্ষ ভারতে ধর্মান্ধদের তৈরি করা এ আইন মানবেন না তাঁরা। এর বিরুদ্ধে লড়বে ভারতের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। আইন বাতিল না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের আন্দোলন চলবে। জীবন দিয়ে হলেও তাঁরা সিএএ এবং এনআরসি কার্যকর হতে দেবেন না।

বিকেলে কলকাতায় যুব কংগ্রেসের কর্মী ও সমর্থকেরা মিছিল বের করে। মিছিলটি পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপালের অফিস ও বাসভবন রাজভবনের দিকে এগোতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। বন্ধ করে দেয় রাজভবনের ফটক। গেট। একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে তাঁদের ধস্তাধস্তি হয়। এরপরই যুব কংগ্রেস কর্মী সমর্থকেরা রাজভবনের ফটকে বসে অবস্থান নেয়।

এর আগে একই দাবিতে কলকাতার অল বেঙ্গল ইমাম নামের একটি সংগঠন ইমামদের নিয়ে একটি প্রতিবাদ মিছিল বের করে। মিছিলটি ধর্মতলার টিপু সুলতান মসজিদ থেকে গান্ধীমূর্তি পাদদেশ পর্যন্ত যায়।