মমতাকে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন মানতে হবে: দিলীপ ঘোষ

মমতা বন্দোপাধ্যায় ও দিলীপ ঘোষ। ফাইল ছবি।
মমতা বন্দোপাধ্যায় ও দিলীপ ঘোষ। ফাইল ছবি।

পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির নেতারা বলছেন, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলের রাজ্য সরকারকে ভারতের সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন মানতে হবে। গতকাল বুধবার বিজেপির পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, মমতা যত বিরোধিতা করুন না কেন, তাঁর সরকারকে মেনে নিতে হবে এ আইন।

ভারতের সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন কার্যকর করা নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে চলছে পাল্টাপাল্টি আন্দোলন। মমতা বলছেন, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বা সিএএ এবং জাতীয় জনসংখ্যা নিবন্ধন কার্যক্রম পশ্চিমবঙ্গ সরকার মানছে না। এ আইন কার্যকর করতে দেওয়া হবে না পশ্চিমবঙ্গে।

বিজেপির দিলীপ ঘোষ বলেন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়ে দিয়েছেন, এনপিআরের সঙ্গে এনসিআরের যোগ নেই। কোনো ধরনের নথি দিতে হবে না এনপিআরে। মৌখিকভাবে তথ্য সংগ্রহ করা হবে। মমতা এ নিয়ে মিথ্যা বলছেন। নিজের অজ্ঞতা প্রকাশ করছেন। ২০১০ সালে সর্বশেষ এনপিআর হয়েছিল। তখন তো ভারতে বিজেপি সরকার ছিল না। এনপিআর করা হয়েছিল সরকারি প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের চিহ্নিতকরণের জন্য। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বা সিএএ বাতিল করতে পারেন না মমতা। আইন পাস হয়েছে ভারতীয় সংসদের উভয় কক্ষে, অর্থাৎ নিম্নকক্ষ লোকসভা ও উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায়। বিল পাস হওয়ার পর ওই বিলে স্বাক্ষরও করেছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। সুতরাং মমতা বললেই তা বাতিল করতে পারেন না। এটা সংবিধানে বলা আছে। কেন্দ্রীয় সরকারও এই আইন মানিয়ে ছাড়বে মমতাকে।

পশ্চিমবঙ্গের পৌরমন্ত্রী ও কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, সিএএ ও এনপিআর এই রাজ্যে কার্যকর করতে দেবে না মমতা সরকার।

কলকাতার মেয়রের সমালোচনা করে দিলীপ ঘোষ বলেন, ফিরহাদ হাকিম জেনেশুনে মিথ্যা বলছেন।