'বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের উন্নতিতে অন্যতম কান্ডারি সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী'

সদ্যপ্রয়াত সাবেক হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলীকে স্মরণ করে ভারতের নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের মৈত্রী হলে এক স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়। ছবি: প্রথম আলো
সদ্যপ্রয়াত সাবেক হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলীকে স্মরণ করে ভারতের নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের মৈত্রী হলে এক স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়। ছবি: প্রথম আলো

সদ্যপ্রয়াত সাবেক হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্কের উন্নতিতে অন্যতম কান্ডারির ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন। দুই দেশের মধ্যে আস্থা ও বিশ্বাসের ভিত দৃঢ় প্রোথিত করতে তাঁর ভূমিকা ছিল অনন্য। শুক্রবার ভারতের নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের মৈত্রী হলে অনুষ্ঠিত এক স্মরণসভায় ভারতীয় সমাজের বিভিন্ন পেশার লোকজন এ অভিমত ব্যক্ত করেন।

দীর্ঘ পাঁচ বছর ভারতে হাইকমিশনের দায়িত্ব পালন করে মোয়াজ্জেম আলী ১৯ ডিসেম্বর দেশে ফেরেন। ২৪ তারিখে অসুস্থ বোধ করায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ৩০ ডিসেম্বর নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা যান।

শুক্রবার বিকেলের এই স্মরণসভা এক অর্থে স্মৃতিচারণা হয়ে দাঁড়ায়। প্রয়াত মোয়াজ্জেম আলীর ছবিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন উপস্থিত সবাই। তাঁর সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত ভাষণে শ্রদ্ধা জানান ডেপুটি হাইকমিশনার রকিবুল হক। সাবেক ভারতীয় কূটনীতিক, মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়া ভারতীয় সেনাবাহিনীর সাবেক সদস্য, শিক্ষাবিদ, ব্যবসায়ী, কলাকুশলী, গবেষক, সাংবাদিক ছাড়াও বহু সাধারণ মানুষ এই স্মরণসভায় উপস্থিত ছিলেন। প্রয়াত হাইকমিশনারের জীবনের বহু দিক তাঁদের স্মৃতিচারণায় উঠে আসে। শুধু কূটনীতিই নয়, শিল্প, সাহিত্য, সংগীত নিয়েও তাঁর আগ্রহ ছিল বিপুল। দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সার্বিক উন্নতিতে কীভাবে তিনি এসব দিকে নজর দিয়েছেন, স্মৃতিচারণে সেসব কথাও উঠে আসে। আর উচ্চারিত হয় এক আক্ষেপের কথা। ভারত ত্যাগের আগে মোয়াজ্জেম আলী বারবার বলতেন, অবসর জীবনটা নাতি–নাতনিদের সঙ্গে কাটাতে চান। সেই সাধ তাঁর আর পূর্ণ হলো না।