বাংলাদেশের ভিডিও ভারতের দাবি করে বিপাকে ইমরান খান
বাংলাদেশের পুরোনো একটি ভিডিও ভারতের উত্তর প্রদেশের পুলিশের দাবি করে বিপাকে পড়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। টুইট সরিয়ে নিলেও স্ক্রিনশট ভাইরাল হয়েছে অনলাইনে।
গতকাল শুক্রবার রাত পৌনে ৮টায় নিজের টুইটার হ্যান্ডেল থেকে একটি ভিডিও পোস্ট করেন ইমরান খান। তিনি দাবি করেন, মুসলমানদের ওপর উত্তর প্রদেশ পুলিশ হামলা চালিয়েছে। ছবিটি পোস্ট করার সঙ্গে সঙ্গে তা ছড়িয়ে পড়ে ইন্টারনেটে। অনেকে নেটিজেন পাল্টা জানিয়ে দেন, ‘এটি ভুয়া একটি ভিডিও। ভুয়া ভিডিও পোস্ট করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।’
ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, পুলিশ লাঠিপেটা করছে। টুইটারে ওই ভিডিওটি শেয়ার করামাত্রই তা হোয়াটসঅ্যাপ ও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। তবে নেটিজেনদের সমালোচনার মুখে কিছুক্ষণের মধ্যেই সরিয়ে নেওয়া হয় ওই টুইট। টুইট সরিয়ে নিলেও স্ক্রিনশট ভাইরাল হয়েছে অনলাইনে।
ভিডিওটি পোস্ট করার দুই ঘণ্টার মধ্যেই ওই টুইট সরিয়ে নেওয়া হয় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর টুইটার হ্যান্ডেল থেকে।
ইমরানের দাবি নিয়ে সরব হয়েছে উত্তর প্রদেশ পুলিশও। ইমরানের ওই টুইটের পাল্টা হিসেবে উত্তর প্রদেশের পুলিশ লিখেছে, ‘এটা উত্তর প্রদেশের নয়, ২০১৩-র মে মাসে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার একটি ঘটনা। পোশাকে লেখা রয়েছে র্যাব (র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন)।’ এ টুইটের সঙ্গে বেশ কিছু লিঙ্ক দিয়েও ইমরান খানের উদ্দেশে উত্তর প্রদেশ পুলিশের মন্তব্য করেছে, ‘এ বিষয়ে আপনাকে অবগত করতে এই লিংকগুলো সাহায্য করবে। ’
এরপর বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবরে প্রকাশ পায় যে, ভিডিওটি আসলে ২০১৩ সালের। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হয়। দোকানপাটে আগুন দেওয়া হয় শহরের কিছু এলাকায়। এরপরই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা শুরু করেন লাঠিপেটা। ইমরান খান টুইট করেন সাত বছর আগে বাংলাদেশের ঘটনার ভিডিও।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র কুমার বলেন, এটি আসলে ইমরান খানের পুরোনো অভ্যাস। তথ্যসূত্র: গালফ নিউজ, এনডিটিভি ও টুইটার।