কাশ্মীরে ব্রডব্যান্ড চালু, সামাজিক যোগাযোগ বন্ধই থাকছে

কাশ্মীরের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় দেশের অন্যান্য অঞ্চলে বসবাসকারী রাজ্যের নাগরিকেরা এ কদিন তাঁদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি। ছবি: বিবিসির সৌজন্যে
কাশ্মীরের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় দেশের অন্যান্য অঞ্চলে বসবাসকারী রাজ্যের নাগরিকেরা এ কদিন তাঁদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি। ছবি: বিবিসির সৌজন্যে

পাঁচ মাস বন্ধ থাকার পর ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে আজ বুধবার থেকে আংশিকভাবে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পরিষেবা চালু হচ্ছে। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধই থাকবে। ভারত সরকারের এক আদেশে এ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। ভারতের এনডিটিভি অনলাইনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

গত ৫ আগস্ট থেকে জম্মু-কাশ্মীরে বন্ধ আছে ইন্টারনেট পরিষেবা। ভারতের সংবিধানের ৩৭০ ধারা বিলোপের পর সতর্কতা অবলম্বনে ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। ওই ধারার ফলে কাশ্মীর উপত্যকা বিশেষ মর্যাদা পেত। ধারাটি বিলোপের ফলে বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা শেষ হয়ে যায়। জম্মু-কাশ্মীরের পূর্ণাঙ্গ রাজ্যের মর্যাদাও কেড়ে নেওয়া হলো। শুধু তা-ই নয়, জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যকে দুই টুকরাও করে দেওয়া হয়। রাজ্য থেকে লাদাখকে বের করে তৈরি করা হয় নতুন এক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল, যার কোনো বিধানসভা নেই।

গত সপ্তাহে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে কাশ্মীরে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ কেন, তা জানতে চান। এরপরই ধাপে ধাপে ব্রডব্যান্ড পরিষেবা ফেরানোর সিদ্ধান্ত হয়। জানা গেছে, আজ প্রথমে মধ্য কাশ্মীর, এর দুদিন পর উত্তর কাশ্মীর আর সবশেষে দক্ষিণ কাশ্মীরে ফেরানো হবে ব্রডব্যান্ড পরিষেবা। এরপর পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা ফেরাতে সম্মতি দেবেন উপ–রাজ্যপাল।

ভারতের সংবিধানের ১৯ (১) (এ) ধারা ইন্টারনেটের মাধ্যমে বাক্‌স্বাধীনতাকে সমর্থন করে। সরকারি সিদ্ধান্তের বিরোধিতা রুখতে সেই ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা ওই ধারার পরিপন্থী। গত সপ্তাহে কেন্দ্রকে তিরস্কার করে এ কথা বলেছিলেন সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি ব্রিটিশ আমলের ১৪৪ ধারা জারি করে বিরুদ্ধ মত পোষণের স্বাধীনতা খর্ব করার সরকারি পদক্ষেপের সমালোচনা করেছিলেন বিচারপতি এনভি রামান্নার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ।