ইমরান খানকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে ভারত

ইমরান খান ও নরেন্দ্র মোদি
ইমরান খান ও নরেন্দ্র মোদি

ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের বরফ গলতে শুরু করবে কি না পরের কথা, তবে ঘটনা হলো সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (এসসিও) শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে ভারতে আসতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে। চলতি বছরের শেষ দিকে ভারতে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রবীশ কুমার আজ বৃহস্পতিবার সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে এ কথা জানান। তিনি বলেন, এসসিও সদস্যভুক্ত দেশগুলোর সরকার প্রধানের শীর্ষ বৈঠক এই বছর ভারতে অনুষ্ঠিত হবে। এই আঞ্চলিক সহযোগিতামূলক সংগঠনের আট সদস্য দেশ, চার পর্যবেক্ষক দেশ ও আঞ্চলিক ডায়ালগ পার্টনারদের সবাইকে আমন্ত্রণ জানানো হবে।

ইমরান খান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে এখনো তাঁর বাক্যালাপ হয়নি। দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর মোদি তাঁর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানেও ইমরানকে আমন্ত্রণ জানাননি। এবার খ্রিষ্টীয় নতুন বছর শুরুর সময় প্রতিবেশী সব দেশের সরকারপ্রধানের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করলেও ইমরানকে শুভেচ্ছা জানাননি তিনি। গত বছর জুন মাসে কিরগিজস্তানের রাজধানী বিশকেকে এসসিও শীর্ষ সম্মেলনে ইমরান উপস্থিত থাকলেও মোদি তীব্র ভাষায় ‘সন্ত্রাসের মদদদাতাদের’ কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছিলেন।

নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরের বছর ২০১৫ সাল থেকেই ভারত-পাকিস্তানের সম্পর্কের শীতলতা তীব্রতর হয়। তৎকালীন পররাষ্ট্রসচিব সুজাতা সিংয়ের পাকিস্তান সফর বাতিল হয়ে যায় কাশ্মীরের হুরিয়ত নেতাদের সঙ্গে আলোচনার জন্য তৎকালীন পাকিস্তান হাইকমিশনার ডেকে পাঠানোয়। এরপর সম্পর্কের ক্রমাবনতি ঘটতেই থাকে। পুলওয়ামা, বালাকোট অবস্থা আরও ঘোরালো করে তোলে। সেই অবস্থা এখনো অব্যাহত।

দুটি বিষয় এখানে দ্রষ্টব্য। প্রথমত, আমন্ত্রণ পাওয়া সত্ত্বেও ইমরান খান আসেন কি না। দ্বিতীয়ত, এলেও বহুপক্ষীয় আসরে মোদির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় কোনো কথা তাঁর হয় কি না। কাশ্মীর নিয়ে জাতিসংঘে পাকিস্তান এখনো চীনকে নিয়ে সক্রিয়। এই আমন্ত্রণ সম্পর্কের শৈত্য কাটাতে পারবে কি না, সেটা বড় প্রশ্ন। প্রধানত, চীনের উদ্যোগে এই আঞ্চলিক সংগঠনের অন্য সদস্যরা হলো কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, রাশিয়া, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান, পাকিস্তান ও ভারত।