করোনা ভাইরাস দ্রুত ছড়াচ্ছে, বিভিন্ন দেশে সতর্কতা

করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চীনে আজ শুক্রবার পর্যন্ত ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। ছবি: রয়টার্স
করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চীনে আজ শুক্রবার পর্যন্ত ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। ছবি: রয়টার্স

চীনজুড়ে ছড়িয়ে পড়া রহস্যময় ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশটিতে আজ শুক্রবার পর্যন্ত ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। অন্তত ৮৩০ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির সরকার। এদের মধ্যে ১৭৭ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ৩৪ জন সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করেছেন।

চীনের বাইরে সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া এমনকি যুক্তরাষ্ট্রেও এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সন্ধান মিলেছে। অনেক দেশই বিমানবন্দরগুলোতে এ ভাইরাসবিষয়ক পরীক্ষার ব্যবস্থা করেছে। যুক্তরাষ্ট্রে এই ভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে ১৬ জনকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

চীনে সব মৃত্যুই হয়েছে হুবেই প্রদেশে। এই প্রদেশের প্রায় ২ কোটি মানুষকে অন্য অঞ্চল থেকে আলাদা করা হয়েছে। চীন বাদে অন্য দেশে এই ভাইরাসে ১৩ জন আক্রান্ত হয়েছে বলে খবর পাওয়া করছে।

জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন জানিয়েছে, উহান শহরে ১ হাজার ৭২টি সন্দেহভাজন রোগীকে পরীক্ষা করা হচ্ছে। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও) চীনের পরিস্থিতিকে বৈশ্বিক জরুরি অবস্থা না বলার মাত্র কয়েক ঘণ্টা পরই মৃতের এই হিসাব প্রকাশ করে চীন।

চীনে নতুন চান্দ্রবর্ষ উপলক্ষে সপ্তাহজুড়ে ছুটি থাকে। কাল শনিবার থেকে এই ছুটি শুরু। ছুটিতে সেখানকার বিভিন্ন প্রদেশের অনেকে যেমন নাড়ির টানে বাড়ি ফেরেন, তেমনি অনেকে অন্যত্র ঘুরতে যান। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, উহান থেকেই এই ভাইরাসের বিস্তার শুরু এবং এখানকার মানুষই বেশি আক্রান্ত হয়েছে। সেখানকার বাসিন্দারা যদি চান্দ্রবর্ষে অন্যত্র ঘুরতে যান, তবে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা আরও বেশি থাকছে। তাই ১ কোটি ১০ লাখ বাসিন্দার উহান শহরের সঙ্গে অন্য শহরগুলোর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। কোনো প্লেন বা ট্রেন উহানের বাইরে বা ভেতরে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। এ ছাড়া উহান থেকে ৭০ কিলোমিটার দূরে হুয়াংগাং শহরও অবরুদ্ধ করা হয়েছে। এই শহরের জনসংখ্যা ৭৫ লাখ। শহর পানশালা এবং সিনেমা হলগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

এই ভাইরাস এর মধ্যে চীনের বেইজিং ও সাংহাই শহরে ছড়িয়েছে। চীনের আধা স্বায়ত্তশাসিত হংকংয়ে এই ভাইরাসে সংক্রমিত রোগীকে শনাক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া উহান থেকে এক নারী যিনি তাইওয়ানে গিয়েছিলেন, তাঁর শরীরে এই ভাইরাস পাওয়া গেছে। এমন ঘটনা ঘটেছে ম্যাকাওয়ের ক্ষেত্রেও।