ট্রাম্প ও মোদির কঠোর সমালোচনায় জর্জ সরোস

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ছবি: রয়টার্স
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ছবি: রয়টার্স

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কঠোর সমালোচনা করেছেন বিশ্বখ্যাত বিনিয়োগকারী ও মুদ্রা ব্যবসায়ী জর্জ সরোস। মোদির হিন্দু জাতীয়তাবাদ ও ট্রাম্পের নির্বাচন জেতার কৌশল নিয়ে সরাসরি আক্রমণ করেছেন বিলিয়নিয়ার এ সমাজসেবক।

সুইজারল্যান্ডের দাভোসে এক অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত নিয়ে কথা বলার পাশাপাশি সরোস বৈশ্বিক, রাজনৈতিক ও প্রযুক্তিগত বিভিন্ন বিষয়ে আলোকপাত করেন। ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে তাঁর কথাগুলো উঠে এসেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি নিয়ে হাঙ্গেরির বংশোদ্ভূত ওই ধনকুবের বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অর্থনৈতিক দল অর্থনীতিকে উত্তপ্ত করে তুলছে। অত্যধিক উত্তপ্ত অর্থনীতি খুব বেশি সময় ধরে ফুটন্ত রাখা যায় না। যদি এসব কিছু নির্বাচনের কাছাকাছি ঘটে থাকে, তবে এটি তাঁর পুনর্নির্বাচনকে আশ্বস্ত করতে পারত। তাঁর ক্ষেত্রে সমস্যা হলো, নির্বাচনের এখনো ১০ মাস বাকি।

ট্রাম্পের প্রসঙ্গে সরোস বলেন, ট্রাম্প অতি আত্মবিশ্বাসী ও চরম আত্মপ্রেমিক (নার্সিসাস) এক ব্যক্তি, যিনি চান গোটা পৃথিবী তাঁকে ঘিরেই আবর্তিত হোক। যখন তাঁর প্রেসিডেন্ট হওয়ার স্বপ্নপূরণ হয়েছে, তখন তাঁর আত্মপ্রেম ব্যাধির পর্যায়ে চলে গেছে। প্রকৃতপক্ষে, তিনি সংবিধানের দ্বারা প্রেসিডেন্টের ওপর আরোপিত সীমা লঙ্ঘন করেছেন এবং এর জন্য অভিশংসিত হচ্ছেন।

বিশ্বখ্যাত বিনিয়োগকারী ও মুদ্রা ব্যবসায়ী জর্জ সরোস। ছবি: রয়টার্স
বিশ্বখ্যাত বিনিয়োগকারী ও মুদ্রা ব্যবসায়ী জর্জ সরোস। ছবি: রয়টার্স

দাভোসে ওই অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সমালোচনা করে সরোস বলেছেন, গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত নরেন্দ্র মোদি একটি হিন্দু জাতীয়তাবাদী রাষ্ট্র তৈরি করছেন, একটি আধা স্বায়ত্তশাসিত মুসলিম অঞ্চল কাশ্মীরের ওপর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা চাপিয়ে দিচ্ছেন এবং এবং লাখো মুসলিমকে নাগরিকত্ব থেকে বঞ্চিত করার হুমকি দিচ্ছেন।

চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক নিয়েও কথা বলতে ছাড়েননি ধনকুবের এ ব্যবসায়ী। তিনি একদিকে ট্রাম্পের যেমন সমালোচনা করেছেন, তেমনি চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংকেও খোঁচা দিয়েছেন। সরোস বলেন, ট্রাম্প নিজের স্বার্থের জন্য জাতীয় স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিতে ইচ্ছুক। ফের নির্বাচনে জয়ী হতে সবকিছু করতে প্রস্তুত তিনি। অন্যদিকে সি চিন পিং ট্রাম্পের দুর্বলতা কাজে লাগিয়ে এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রয়োগের মাধ্যমে তাঁর জনগণের ওপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ রাখতে মরিয়া।