ফেসবুকের সিওও শেরিলের সঙ্গে টমের বাগ্দান

টম বার্থাল ও শেরিল স্যান্ডবার্গ। ছবিটি শেরিল স্যান্ডবার্গের ফেসবুক ওয়াল থেকে নেওয়া।
টম বার্থাল ও শেরিল স্যান্ডবার্গ। ছবিটি শেরিল স্যান্ডবার্গের ফেসবুক ওয়াল থেকে নেওয়া।

ফেসবুকের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওও) শেরিল স্যান্ডবার্গের বাগ্‌দান সম্পন্ন হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসভিত্তিক একটি গবেষণা ও পরামর্শ সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা টম বার্থালের সঙ্গে শেরিলের বাগ্‌দান হয়।

সোমবার শেরিল স্যান্ডবার্গ ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে বাগ্‌দানের বিষয়টি জানান। ৫০ বছরের শেরিল ফেসবুকে পোস্টে লেখেন, ‘অ্যানগেজড! টম বার্থাল, তুমিই আমার সব। এরচেয়ে ভালোবাসা আর দেওয়ার নেই।’

‘দ্য নিউইয়র্ক টাইমস’–এর প্রতিবেদনে বলা হয়, ৪৬ বছর বয়সী টম বার্থাল বিশ্বব্যাপী বিপণন গবেষণা ও ব্র্যান্ড পরামর্শক সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও)। এর আগে তিনি আমেরিকান টেলিভিশন এনবিসিতে কাজ করেছেন। সেখান থেকে তিনি টেলিভিশন প্রযোজক হিসেবে ‘অ্যামি আওয়ার্ড’ জিতেছেন।

এই ঘটনার পর শেরিল স্যান্ডবার্গের মুখপাত্র ক্যারোলিন নোলান বলেন, এই মুহূর্তে শেরিল ও বার্থাল কোনো সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন না।

ব্লুমবার্গের খবরে বলা হয়, বাগ্‌দান বিষয়ে শেরিলের পোস্টের জবাবে ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মার্ক জাকারবার্গ শুভেচ্ছা জানিয়ে লিখেছেন, ‘তোমরা একে অপরের জন্য দুর্দান্ত। তোমাদের দুজনের জন্য আমি ভীষণ খুশি।’

শেরিলের স্বামী ডেভ গোল্ডবার্গ ২০১৫ সালের এক ছুটির দিনে আকস্মিকভাবে মারা যান। তাঁর মৃত্যুর পাঁচ বছর পর শেরিল তাঁর প্রেমিকের সঙ্গে এই বাগ্‌দানে জড়ালেন। শেরিলের ওই স্বামীর ঘরে দুই সন্তান আছে। সন্তানেরা একসময় মাকে ছেড়ে চলে যায়। এসব দুঃখ-ব্যথা নিয়ে ২০১৭ সালে ‘অপশন বি’ নামে বই লেখেন এই নারী।

২০১৩ সালে নারীর ক্ষমতায়ন ও নেতৃত্ব নিয়ে শেরিলের লেখা ‘লিন ইন: উইমেন, ওয়ার্ক অ্যান্ড দ্য উইল টু লিড’ নামের বইটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। সে বছরের সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া বই ছিল এটি। ১০ লাখের বেশি কপি বিক্রি হয় ২০১৩ সালেই। বইটি অনেক পেশাদার নারীকে তাঁদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে সাহস জুগিয়েছে, করেছে অনুপ্রাণিত।

হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে সাবেক ছাত্রী শেরিল স্যান্ডবার্গ এর আগে কাজ করেছেন বিশ্বব্যাংক, গুগলসহ বিভিন্ন খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠানে। ১৯৬৯ সালে ওয়াশিংটন ডিসিতে জন্ম নেওয়া এই নারী ২০১৭ সালে টাইম সাময়িকীর করা বিশ্বের ১০০ প্রভাবশালী মানুষের তালিকায় ঠাঁই পান।