দিল্লি বিধানসভার ভোট গ্রহণ চলছে

ভোট দেওয়ার পর পোলিং স্টেশনে ভোটারের আঙুলে কালির ছাপ দেওয়া হচ্ছে। ছবি: এএফপি
ভোট দেওয়ার পর পোলিং স্টেশনে ভোটারের আঙুলে কালির ছাপ দেওয়া হচ্ছে। ছবি: এএফপি

ভারতে দিল্লি বিধানসভার ভোট গ্রহণ আজ শনিবার স্থানীয় সময় সকাল আটটা থেকে শুরু হয়েছে। সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত চলবে। পাঁচ বছরের ‘জনমুখী’ কাজের খতিয়ান, নাকি ‘হিন্দু জাতীয়তাবাদী দেশপ্রেম’, দিল্লিবাসী কোনটা আঁকড়ে ধরবে, তা ঠিক হবে আজ।

রাজ্য দিল্লির প্রায় দেড় কোটি ভোটার আজই ঠিক করবেন, আম আদমি পার্টির এক ও অবিসংবাদিত নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের ওপর আরও পাঁচ বছরের জন্য ভরসা রাখবেন, নাকি নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বের ওপর ছেড়ে দেবেন দিল্লি শাসনের ভার।

৭০ আসনবিশিষ্ট দিল্লি বিধানসভার মোট ভোটার ১ কোটি ৪৭ লাখ ৮৬ হাজার ৩৮২ জন। এবারের নির্বাচনে প্রায় ২ লাখ ১০ হাজার নতুন ভোটার রয়েছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভোট ফ্যাক্টরের অনেকটাই নির্ভর করছে এই নতুন ভোটারদের ওপর। পরীক্ষায় কোন দল উত্তীর্ণ হলো, কারা হলো না, এর উত্তর জানা যাবে ১১ ফেব্রুয়ারি।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আজ সকালেই টুইট করে নতুন প্রজন্মকে ভোটদানের জন্য আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘আজ দিল্লির বিধানসভা নির্বাচন। সব ভোটারের কাছে আমার আবেদন, আপনারা গণতন্ত্রের এই উত্সবে বেশি সংখ্যায় অংশগ্রহণ করুন। বিশেষ করে আমার নতুন প্রজন্মের বন্ধুরা।’

আম আদমি পার্টির অরবিন্দ কেজরিওয়াল দিল্লির নারী ভোটারদের ভোটদানের আহ্বান জানিয়ে টুইট করেন। তিনি বলেন, ‘আপনারা যেমন ঘরের সমস্ত দায়িত্ব সামলান, তেমনই দেশ ও দিল্লির দায়িত্বও রয়েছে আপনাদের কাঁধে। আপনারা নিজেরাও ভোট দিতে যান। সঙ্গে ঘরের পুরুষদেরও ভোট দিতে নিয়ে যান। ঘরের পুরুষদের সঙ্গে আলোচনা করুন কাকে ভোট দেওয়া উচিত।’

আজকের দিল্লির ভোটের আকর্ষণ শেষ মুহূর্তে দিল্লিবাসী বিদ্যুৎ, পানি, সড়ক, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ অন্যান্য জনমুখী প্রকল্পের জন্য কেজরিওয়াল সরকারকে আরও একবার বেছে নেবেন, নাকি শাহিনবাগের ‘নৈরাজ্যের’ অবসানে কাছে টেনে নেবেন বিজেপিকে। এই ভোটই ঠিক করে দেবে ভারতীয় রাজনীতির আগামী দিনের প্রবাহের গতিমুখ।

দিল্লির ৪০ হাজার পুলিশ, ১৯০ কোম্পানি আধা সামরিক বাহিনী এবং ১৯ হাজার হোম গার্ড সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নামানো হচ্ছে। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ২ হাজার ৬৮৯ বুথের মধ্যে ৫৪৫টি যথেষ্ট স্পর্শকাতর ও উত্তেজনাপ্রবণ।

সাত বছর আগে ২০১৩ সালে দিল্লিতে কেজরিওয়ালের উদয় হয়েছিল। টানা ১৫ বছরের কংগ্রেসি মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিতকে হারিয়েছিলেন কেজরিওয়াল। ৭০ আসনের মধ্যে ৩১টি পেয়ে বিজেপি একক গরিষ্ঠ দল হলেও সরকার গঠনে তারা রাজি হয়নি। ২৮টি আসন পেয়েছিল আম আদমি পার্টি। কংগ্রেস পায় ৮টি। শেষ পর্যন্ত কংগ্রেসের সমর্থনে সরকার গড়েন কেজরিওয়াল। মাত্র ৪৯ দিন স্থায়ী হয়েছিল তাঁর প্রথমবারের সরকার।