করোনাভাইরাস: জাপানের প্রমোদতরির আরও তিন যাত্রী আক্রান্ত

জাপানের এই প্রমোদতরির যাত্রীরা করোনাভাইরাস–আতঙ্কে আছেন। ছবি: এএফপি
জাপানের এই প্রমোদতরির যাত্রীরা করোনাভাইরাস–আতঙ্কে আছেন। ছবি: এএফপি

জাপানের প্রমোদতরিতে আটকে পড়া যাত্রীদের মধ্যে আরও তিনজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্ত যাত্রীদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ নিয়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত যাত্রীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৬৪। জাহাজ থেকে ৬ যাত্রীকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

এএফপির খবরে বলা হয়েছে, এখন পর্যন্ত এই জাহাজে আইসোলেশনে থাকা ৬৪ জনের শরীরে ভাইরাসের খোঁজ মিলেছে। তাঁদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। জাহাজের একজন অপারেটর জানিয়েছেন, অপ্রত্যাশিত আর কোনো ঘটনা না ঘটলে কোয়ারেন্টাইনের সময় শেষ হবে ১৯ ফেব্রুয়ারি।

করোনাভাইরাসের আতঙ্কে কয়েক দিন ধরে জাপানের ইয়োকোহামায় জাপানি ক্রুজ ডায়মন্ড প্রিন্সেসে কোয়ারেন্টাইন অবস্থায় রয়েছেন জাহাজের ৩ হাজার ৭০০ জন যাত্রী। ১৩৮ জন ভারতীয় আছেন জাহাজে। ভারতীয়দের মধ্যে ১৩২ জন নাবিক ও ৬ জন যাত্রী।

এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাস সন্দেহে চীনের বাইরে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা এই জাহাজে ঘটল।

জাপানের ওই জাহাজের ২৮০ জন যাত্রীকে পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, জাহাজ থেকে ৬ যাত্রীকে গত শনিবার ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে ওই ৬ জন কে কোনো দেশের নাগরিক, তা জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়নি।

ক্রমেই ভয়াবহ আকার নিচ্ছে করোনাভাইরাস। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃত মানুষের সংখ্যা। নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকেই। এক মাস আগে এক চিকিৎসক এ মারণ ভাইরাসের হুঁশিয়ারি দিয়ে পুলিশকে সতর্ক করেন। তবে চীন সরকার সে ঘটনা খুব একটা আমলে নেয়নি। পরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ওই চিকিৎসকের মৃত্যু হয়।

নতুন করোনাভাইরাসের উৎপত্তিস্থল বলে পরিচিত চীনের হুবেই প্রদেশে এ ভাইরাসের সংক্রমণে সর্বশেষ পাওয়া খবরে জানা গেছে, এ রোগে মারা গেছেন ৮০৩ জন। একজন ছাড়া অন্যদের প্রাণহানি চীনের মূল ভূখণ্ড ও হংকংয়ে ঘটেছে। আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৪ হাজার ৫৪৬।