করোনার চক্করে চাকরির বারোটা

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় চীনা কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে দেশটিতে সমালোচনা বাড়ছে। ছবি: রয়টার্স
করোনাভাইরাস মোকাবিলায় চীনা কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে দেশটিতে সমালোচনা বাড়ছে। ছবি: রয়টার্স

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস মোকাবিলায় ব্যর্থতার দায়ে চীনের বেশ কিছু জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার চাকরি গেছে। আজ মঙ্গলবার বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।

চীনে করোনাভাইরাসের সংক্রমণে গতকাল সোমবার মারা গেছেন ১০৩ জন। মৃত্যুর সংখ্যার বিবেচনায় এখন পর্যন্ত এটিই চীনের সবচেয়ে প্রাণঘাতী দিন। সব মিলিয়ে চীনে এই ভাইরাসের সংক্রমণে মৃত ব্যক্তির মোট সংখ্যা ১ হাজার ১৬।

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় চীনা কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে দেশটিতে সমালোচনা বাড়ছে। এমন প্রেক্ষাপটে শীর্ষ কর্মকর্তাদের চাকরি যাওয়ার খবর এল।

চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে বিবিসি অনলাইন বলছে, বড় মাপের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাকে ‘অপসারণ’ করেছে চীনা কর্তৃপক্ষ।

করোনাভাইরাসের কেন্দ্রস্থল চীনের হুবেই প্রদেশ। এই ভাইরাস মোকাবিলায় ব্যর্থতার জেরে যাঁদের চাকরি গেছে, তাঁদের মধ্যে হুবেই স্বাস্থ্য কমিশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত দলীয় সেক্রেটারি ও স্বাস্থ্য কমিশনের প্রধান রয়েছেন। এই দুই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার পদাবনতি হবে।

দায়িত্ব পালনে অবহেলার দায়ে স্থানীয় রেডক্রসের উপপরিচালককেও ‘অপসারণ’ করা হয়েছে।

চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, হুবেই ও অন্যান্য প্রদেশে কয়েক শ কর্মকর্তা বরখাস্ত, তদন্ত ও সতর্কের আওতায় এসেছেন।

চীনে কোনো কর্মকর্তাকে দায়িত্ব থেকে অপসারণের অর্থ সব সময় এমন নয় যে তিনি পুরোপুরি বরখাস্ত হবেন। এই পদক্ষেপের অর্থ পদাবনয়নও হতে পারে। এ ছাড়া তিনি শাস্তির আওতায়ও আসতে পারেন।

চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং গতকাল বেইজিংয়ের একটি হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে তাঁর জনসমক্ষে আসা ও হাসপাতাল পরিদর্শনের ঘটনাকে বিরল হিসেবে বর্ণনা করা হচ্ছে। তবে তিনি এখন পর্যন্ত হুবেই যাননি।

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় আরও সঠিক পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেছেন সি চিন পিং। চীনা প্রেসিডেন্ট বলেছেন, তাঁদের সেই আত্মবিশ্বাস থাকতে হবে যে তাঁরা শেষ পর্যন্ত এই মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জিতবেন।