পাকিস্তানে তৃতীয় বিয়ে করতে গিয়ে প্রথম স্ত্রীর লোকজনের প্যাঁদানি

রয়টার্স প্রতীকী ছবি।
রয়টার্স প্রতীকী ছবি।

তৃতীয়বারের মতো বিয়ে করতে যাচ্ছিলেন তিনি। বসে ছিলেন বিয়ের আসরে। ভন্ডুল করে দিল প্রথম স্ত্রীর পরিবারের লোকজন। এমন প্যাঁদানি দিল যে বিয়ের আসর ছেড়ে বরকে যেতে হলো হাসপাতালে। পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের রাজধানী করাচির নর্থ নাজিমাবাদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

জিও টিভির বরাতে এনডিটিভির বুধবারের খবরে জানা যায়, পিটুনি খাওয়ার পর বর হামলাকারীদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। অনুমতি ছাড়া বিয়ের আসরে ঢুকে পড়া ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগ আনেন তিনি।

ঘটনাস্থল নাজিমাবাদের ব্লক এলের তাইমুরিয়া থানাধীন। পুলিশ বলছে, উভয় পক্ষকে আদালতে আইনি ব্যবস্থা নিতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পুলিশ বলছে, ওই মুহূর্তে বরকে আটকে রাখার মতো কোনো কারণ তাদের কাছে নেই।

পুলিশ সূত্র বলছে, বর হামলায় আহত হয়েছেন। তিনি হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে চান। তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য আব্বাসী শাহেদ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

গণমাধ্যমে কথা বলার সময় বর বলেন, ‘ওই নারী আমার প্রথম স্ত্রী। তাঁর সঙ্গে কিছুদিন আগে আমার সম্পর্ক শেষ হয়ে গেছে। আমি প্রথম পক্ষের স্ত্রীকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছি। আমার আইনজীবী তাঁদের সঙ্গে কথা বলবেন।’

প্রথম স্ত্রীর অভিযোগ, তাঁর স্বামী গোপনে ২০১৮ সালে দ্বিতীয় বিয়ে করেছিলেন। একইভাবে তৃতীয় বিয়ে করার চেষ্টার সময় তিনি ধরা পড়েন।

পাকিস্তানে ১৯৬১ সালের মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশ অনুসারে দ্বিতীয় বিয়ে করার আগে প্রথম স্ত্রীর কাছ থেকে লিখিত অনুমতি নিতে হয়।