চীনে পোষা প্রাণিদের মুখেও মাস্ক

চীনে মানুষের পাশাপাশি পোষা প্রাণীর মুখেও এখন দেখা যাচ্ছে মাস্ক। ছবি: টুইটার থেকে সংগৃহীত
চীনে মানুষের পাশাপাশি পোষা প্রাণীর মুখেও এখন দেখা যাচ্ছে মাস্ক। ছবি: টুইটার থেকে সংগৃহীত

নতুন করোনাভাইরাসের সংক্রমণে জেরবার গোটা চীন। এরই মধ্যে প্রায় দেড় হাজার মানুষের প্রাণ গেছে। ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে মুখে মাস্ক পরে চলাচল করছেন সাধারণ মানুষ। তবে শুধু মানুষ নয়, চীনে এখন মাস্ক দেখা যাচ্ছে অনেক পোষা প্রাণীর মুখেও।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনে পোষা প্রাণীর মালিকেরা উদ্বিগ্ন হয়ে তাঁদের পোষা কুকুর-বিড়ালের মুখে মাস্ক পরিয়ে দিচ্ছেন। চীনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ওয়েইবোতে ছড়িয়ে পড়া বেশ কয়েকটি ছবিতে দেখা গেছে, কুকুর-বিড়ালের মুখের জন্য উপযোগী করে মাস্ক কেটে নেওয়া হয়েছে। এরপর সেই মাস্ক পরিয়ে দেওয়া হয়েছে পোষা প্রাণীদের মুখে। টুইটারেও এ রকম বেশ কয়েকটি ছবি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।

যদিও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য সান–এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কুকুর-বিড়ালের মতো পোষা প্রাণীরা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়—এমন কোনো প্রমাণ এখনো পাওয়া যায়নি। কিন্তু চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন এই বক্তব্যের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছে। সংস্থাটি বলছে, মানুষের মতো পোষা প্রাণীরাও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে।

চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের মুখপাত্র ও রোগতত্ত্ববিদ লি লানজুয়ান বলেছেন, পোষা প্রাণীরা যদি বাইরে গিয়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের সংস্পর্শে আসে, তাহলে তারাও এই ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে। তখন এই প্রাণীগুলোকেও কোয়ারেন্টাইনে রাখতে হবে এবং এদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। ওয়ার্ল্ড স্মল অ্যানিমেল ভেটেরিনারি অ্যাসোসিয়েশনও আপাতত পোষা প্রাণীদের বাইরে না নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।

চীনে নতুন করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা প্রায় দেড় হাজারের কাছাকাছি গিয়ে ঠেকেছে। আজ শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত ১ হাজার ৪৮৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার এক দিনেই চীনে মারা গেছে ২৪২ জন, এখন পর্যন্ত যা এক দিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড। আক্রান্ত হয়েছে প্রায় ৬৫ হাজার মানুষ।