পশ্চিমবঙ্গে পৌর নির্বাচনে ফিরছে ব্যালট?

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: রয়টার্স
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: রয়টার্স

ভারতে এখন লোকসভা, বিভিন্ন রাজ্যের বিধানসভা এবং পৌরসভা-পৌর করপোরেশন নির্বাচন হয়ে আসছে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)। সর্বশেষ লোকসভা নির্বাচনও হয়েছে ইভিএমে। তবে পশ্চিমবঙ্গ পৌর নির্বাচনে ইভিএমের বদলে ব্যালটে নির্বাচন দেখা যেতে পারে। রাজ্যের নির্বাচন কমিশনারের কথায় সেরকম ইঙ্গিতই পাওয়া গেছে।

লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গের ৪২টি আসনের মধ্যে বিজেপি ১৮টি আসন জিতে নেওয়ার পর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ তুলেছিলেন, বিজেপি ইভিএমে কারচুপি করে জিতেছে। এরপরই তিনি ব্যালটে ভোট নেওয়ার দাবি তুলেছিলেন। পৌর নির্বাচনকে সামনে রেখে আবার সেই একই দাবি তুলেছেন মমতা। পশ্চিমবঙ্গের পৌর ও নগর উন্নয়ন দপ্তর এই দাবিতে রাজ্যের নির্বাচন দপ্তরে চিঠিও দিয়েছে।

কংগ্রেস এবং সিপিএম অবশ্য ইভিএমেই নির্বাচন চাইছে। আর বিজেপি বলছে, ইভিএম বা ব্যালট- কোনোটিতেই তাদের আপত্তি নেই। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা মুকুল রায় দলীয় নেতাদের নিয়ে সম্প্রতি রাজ্য নির্বাচন কমিশনে গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি নির্বাচন কমিশনকে বলেন, ব্যালট কিংবা ইভিএম কোনোটিতেই তাদের আপত্তি নেই। তাদের একটিই দাবি, নির্বাচন হতে হবে অবাধ, নিরপেক্ষ এবং সুষ্ঠু।

রাজ্য সচিবালয়ও চাইছে নির্বাচন হোক ব্যালটে। এই লক্ষ্যে বুধবার পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাস উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং হাওড়ার জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে পৌর নির্বাচন নিয়ে বৈঠক করেন। সেখানে তিনি ইঙ্গিত দেন, আসন্ন পৌরসভা নির্বাচন ইভিএমের পরিবর্তে ব্যালটে হতে পারে। সে ব্যাপারে তাঁদের প্রস্তুত থাকতেও বলা হয়েছে।

রাজ্য নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, পশ্চিমবঙ্গের ১১২ টি পৌরসভা ও পৌর করপোরেশনে নির্বাচন হবে দুই দফায়। এর মধ্যে আগামী এপ্রিলে প্রথম পর্বে নির্বাচন হবে কলকাতা, হাওড়া, শিলিগুড়ি পৌর করপোরেশনসহ ১০২টি পৌরসভায়। আর বিধাননগর ও আসানসোল পৌর করপোরেশন সহ ১০টি পৌরসভার নির্বাচন হবে দুর্গাপূজার পর। প্রথম দফার নির্বাচন ১২ এপ্রিল হতে পারে, এমন ইঙ্গিতও দেন নির্বাচন কমিশনার।

প্রসঙ্গত, লোকসভা এবং বিধানসভার নির্বাচন নিয়ন্ত্রণ করে ভারতের নির্বাচন কমিশন। আর পৌরসভা এবং পঞ্চায়েতের নির্বাচন নিয়ন্ত্রণ করে রাজ্যের নির্বাচন কমিশন বা দপ্তর। তাই পশ্চিমবঙ্গের পৌরসভা এবং পৌর করপোরেশন নির্বাচন নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে আছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।