পশ্চিমবঙ্গে অমিত শাহর পদত্যাগ দাবি

অমিত শাহ। রয়টার্স ফাইল ছবি
অমিত শাহ। রয়টার্স ফাইল ছবি

দিল্লির শাসনক্ষমতা থেকে অবিলম্বে অমিত শাহর পদত্যাগ দাবি করেছেন পশ্চিমবঙ্গের বাম ও কংগ্রেস জোটের নেতারা। গত রোববার অমিত শাহ বলেছিলেন, বিজেপিকে ক্ষমতায় আসতে দিন। বিজেপিই আগামী ৫ বছরে এই রাজ্যকে সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলবে।

এ মন্তব্যের সমালোচনা করে পশ্চিমবঙ্গের বাম ও কংগ্রেস জোটের নেতৃবৃন্দ বলছেন, সোনার বাংলা গড়া অমিত শাহর হাতে নেই। বাংলার মানুষ অমিত শাহকে চায় না। চায় অমিত শাহর ইস্তফা। বাংলার মানুষই গড়বে সোনার বাংলা।

গতকাল সোমবার বিকেলে কলকাতার ১৭টি বাম দল ও কংগ্রেস দিল্লির সহিংস ঘটনার প্রতিবাদে এক বিশাল প্রতিবাদ মিছিল বের করে। মিছিল শুরু হয় কলকাতার সুবোধ মল্লিক স্কয়ার থেকে আর শেষ হয় মহাজাতি সদন চত্বরে। প্রতিবাদ মিছিলে ছিলেন বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু, সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র, কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি সোমেন মিত্র, আরএসপির রাজ্য সম্পাদক বিশ্বনাথ চৌধুরী প্রমুখ।

সমাবেশে সূর্যকান্ত মিশ্র বলেছেন, বিজেপির হাত ধরে এখন কলকাতায় ‘গুলি মারো’ স্লোগান এসে পড়েছে। এ রাজনীতি চলবে না।

সোমেন মিত্র বলেছেন, ‘বাংলার সংস্কৃতি রক্ষার জন্য পথে নেমেছি। বাংলায় সিএএ, এনআরসি এবং এনপিআর কার্যকর করতে দেব না। এই বাংলা ধর্মনিরপেক্ষতার আদর্শে লালিত। এখানে ধর্মীয় বিভাজন চলে না।’

গত রোববার ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কলকাতায় এসে সিএএর গুণগান গেয়ে আসন্ন পশ্চিমবঙ্গে পৌর নির্বাচনের দিকনির্দেশনা দেন। ওই দিন শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে বিজেপি–সমর্থিত একদল মানুষ দিল্লির শাহিনবাগের মতো ‘গুলি মারো’ স্লোগান দেয়। এই ঘটনার পর কলকাতা পুলিশ ওই দিন রাতেই তিনজনকে শনাক্ত করে। পুলিশ সূত্রে বলা হয়েছে, পুলিশ ওই স্লোগানের সঙ্গে যুক্ত আরও ২৫ জনকে শনাক্ত করেছে। অবিলম্বে তাদের গ্রেপ্তার করা হবে।