করোনায় মৃত ৫ হাজার ছাড়িয়েছে

ছবি: রয়টার্স
ছবি: রয়টার্স

করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রাণহানির সংখ্যা পাঁচ হাজার ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে শুধু চীনেই মারা গেছেন ৩ হাজার ১৭৬ জন। বার্তা সংস্থা এএফপির হিসাবে, বিশ্বজুড়ে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৩৪ হাজারে। নতুন করে এ ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে পূর্ব আফ্রিকার দেশ ইথিওপিয়া ও কেনিয়ায়।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার থেকে আগের ২৪ ঘণ্টায় ইতালিতে করোনায় প্রাণহানি হয়েছে ১৮৯ জনের। এ নিয়ে দেশটিতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১৬–তে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানে শুক্রবার নতুন করে ৮৫ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। সব মিলে দেশটিতে প্রাণহানির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫১৪–তে। এ ছাড়া শুক্রবার পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে নতুন করে এক হাজারেরও বেশি মানুষ এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবমতে, সেখানে আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা ১১ হাজার ৩৬৪।

করোনা পর্যবেক্ষণ করছে যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিনস ইউনিভার্সিটি। ইউনিভার্সিটির গবেষকদের দেওয়া তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত এই ভাইরাসে আক্রান্ত ৬৮ হাজার মানুষ সুস্থ হয়েছে।

বিশ্বে ১১৭টিরও বেশি দেশে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে বিশ্বনেতা, খেলোয়াড় ও বিভিন্ন তারকাও রয়েছেন। নতুন করে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পিটার ডাটন, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর স্ত্রী সোফি গ্রেগয়ের-ট্রুডো

বিশ্বের অন্যতম পর্যটনবহুল দেশ ফ্রান্সে একসঙ্গে ১০০ জনের বেশি লোকের সমাগম নিষিদ্ধ করা হয়েছে। দেশটিতে সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ফ্রান্সের নাগরিকদের বেশ কয়েকটি দেশে যেতে সাময়িকভাবে নিষেধ করা হয়েছে।

নতুন এই করোনাভাইরাসের প্রভাব পড়েছে ক্রীড়াঙ্গনেও। স্থগিত হতে শুরু করেছে চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচ গুলোও। পেছানো হয়েছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল)। কুপোকাত হয়েছে বিশ্ব পুঁজিবাজারও।

তবে কিছুটা হলেও ইতিবাচক খবর আসছে দক্ষিণ কোরিয়ার জন্য। করোনার উৎপত্তিস্থল চীনের পর এ ভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ এটি। ইতিবাচক সংবাদ হলো, দেশটিতে গত তিন সপ্তাহের মধ্যে সবচেয়ে কমসংখ্যক নতুন আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হয়েছে শুক্রবার।

এদিকে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন বলছে, করোনাভাইরাসের কারণে দেশটির সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আগামী ৫ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত পাকিস্তানে করোনায় আক্রান্ত ২১ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ইতিমধ্যে দুজন সুস্থ হয়ে উঠেছে।