যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যে করোনা নিয়ে নতুন আশঙ্কার কথা জানাল সমীক্ষা

করোনাভাইরাসে বিশ্বব্যাপী আক্রান্ত হয়েছে প্রায় দুই লাখ মানুষ। মারা গেছে আট হাজারের মতো। ইলাস্ট্রেশন: রয়টার্স
করোনাভাইরাসে বিশ্বব্যাপী আক্রান্ত হয়েছে প্রায় দুই লাখ মানুষ। মারা গেছে আট হাজারের মতো। ইলাস্ট্রেশন: রয়টার্স

করোনাভাইরাস পরিস্থিতি ভয়াবহ হলে যুক্তরাজ্যে লাখো মানুষ মারা যেতে পারে—সমীক্ষার নিরিখে এমন এক প্রতিবেদন প্রকাশের পর ব্রিটিশ সরকার কোভিড-১৯ প্রতিরোধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে।

সমীক্ষায় বলা হয়, ভাইরাসটি সবচেয়ে খারাপ মাত্রায় ছড়ালে ৫ লাখের বেশি মানুষ মারা যেতে পারে। এ ছাড়া মারাত্মক অসুস্থ রোগীতে উপচে পড়বে জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা। এই ভাইরাসে যুক্তরাষ্ট্রে মারা যেতে পারে ২২ লাখ মানুষ। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

কঠোর পদক্ষেপের অংশ হিসেবে বরিস সরকার যুক্তরাজ্যের জীবনযাপনে সব সামাজিকতা নিষিদ্ধ করেছে। ৭০ বছরের বেশি বয়সী লোকজনকে আলাদা করে রাখার পরামর্শ দিয়েছে। ক্যাফে, পাবে, সিনেমা হলে যাওয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

গাণিতিক জীববিজ্ঞানের অধ্যাপক নিল ফার্গুসন ও তাঁর দল সম্প্রতি এই গবেষণা করে। ওই গবেষণা তৈরিতে ইতালি থেকে সংগৃহীত নতুন তথ্য ব্যবহার করা হয়েছে। ইতালিতে এই ভাইরাস মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। কয়েক সপ্তাহ ধরে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।

১৯১৮ সালের এক ফ্লুর সঙ্গে এই পরিস্থিতির তুলনা করে ফার্গুসনের গবেষকেরা বলছেন, কোনো নিবারণ পদ্ধতি এখনো পাওয়া যায়নি। এই মহামারিতে যুক্তরাজ্যে ৫ লাখের বেশি মানুষ এবং যুক্তরাষ্ট্রে ২২ লাখ মানুষ মারা যেতে পারে।

মানুষে মানুষে সামাজিক দূরত্ব চূড়ান্তভাবে বজায় রাখা এবং ক্লাব, থিয়েটার পুরোপুরি এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন গবেষকেরা।

ফার্গুসনের গবেষণা দলের অন্যতম গবেষক আজরা ঘানি বলেন, ‘এটি সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে আমাদের ওপর প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করতে চলেছে।’

আরেক গবেষক বলেন, কঠিন সময় আসছে। এই ফলাফল খুবই আশঙ্কাজনক।