বড় ব্যাংকগুলো জীবাশ্ম জ্বালানি খাতে অর্থায়ন করছেই

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় গত বছরের নভেম্বর মাসে সৃষ্টি হয় দাবানল। রয়টার্স ফাইল ছবি
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় গত বছরের নভেম্বর মাসে সৃষ্টি হয় দাবানল। রয়টার্স ফাইল ছবি

জলবায়ু পরিবর্তন রোধে উল্টো পথে হাঁটছে বিশ্বের বাঘা ব্যাংকগুলো। বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমানোর প্রতিশ্রুতি ছিল ২০১৫ সালের প্যারিস চুক্তিতে। কিন্তু বড় আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো জীবাশ্ম জ্বালানি খাতে ২ দশমকি ৭ ট্রিলিয়ন ডলার অর্থায়ন করেছে। ‘ব্যাংকিং অন ক্লাইমেট চেঞ্জ ২০২০’ নামের এক বৈশ্বিক প্রতিবেদনে এ চিত্র উঠে এসেছে। আজ বুধবার সকালে বিশ্বব্যাপী এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। আন্তর্জাতিক সংগঠন রেইন ফরেস্ট নেটওয়ার্ক, ব্যাংক ট্র্যাক, ইনডিজেনাস এনভায়রনমেন্টাল নেটওয়ার্ক, অয়েল চেঞ্জ ইন্টারন্যাশনাল, রিক্লেইমিং ফাইন্যান্স এবং সিয়েরে ক্লাব এ প্রতিবেদন তৈরি করে। বিশ্বের ২৪০টি প্রতিষ্ঠান এ প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছে।

বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি রোধে ফ্রান্সের প্যারিসে ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে জাতিসংঘের সদস্যরাষ্ট্রগুলো প্রথমবারের মতো ঐকমত্যে পৌঁছায়। কপ২১ নামে পরিচিত ওই সম্মেলনে এ শতাব্দীর মধ্যে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির মাত্রা ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ রাখার এক ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত হয়। মূল ভাবনা ছিল, জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে ক্রমে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে ফিরে যাবে বিশ্ব। কিন্তু আজকের প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, কানাডা, চীন, ইউরোপ, জাপান ও যুক্তরাষ্ট্রের ৩৫টি বড় ব্যাংক ২০১৬ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত জীবাশ্ম জ্বালানি খাতে ২ দশমিক ৭ ট্রিলিয়ন ডলার অর্থায়ন করেছে। প্যারিস চুক্তির পর থেকে বরং এ খাতে অর্থায়নের পরিমাণ বেড়েছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে ২০৩০ সাল নাগাদ প্রতি বছর এক ট্রিলিয়ন ডলার করে বিনিয়োগ বাড়বে।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, জেপিমর্গান চেজ, ওয়েলস ফার্গো, সিটি এবং ব্যাংক অব আমেরিকা—যুক্তরাষ্ট্রের এ চার ব্যাংক জীবাশ্ম জ্বালানিতে অর্থায়নের একবারে প্রথম সারিতে আছে। গত চার বছরে জীবাশ্ম জ্বালানি খাতে মোট ৩৫টি ব্যাংকের মোট অর্থায়েনর ৩০ শতাংশই করেছে এ চার ব্যাংক। এর মধ্যে জেপিমর্গান চেজ সবচেয়ে বেশি অর্থায়ন করেছে।
চীনে জীবাশ্ম জ্বালানি খাতে সবচেয়ে বেশি অর্থায়ন করেছে ব্যাংক অব চায়না। এটিসহ চায়না কনস্ট্রাকশন ব্যাংক কয়লা খনিতে বেশি বিনিয়োগ করেছে।