করোনাভাইরাস প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্টি হয়েছে, দাবি গবেষকদের

নতুন করোনাভাইরাস প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্টি হয়েছে। কোনো কৃত্রিম উপায়ে এই ভাইরাস তৈরি করা হয়নি। মার্কিন গবেষণা প্রতিষ্ঠান স্ক্রিপস রিসার্চ ইনস্টিটিউট এ দাবি করেছে। এ–সংশ্লিষ্ট একটি গবেষণাপত্র সম্প্রতি নেচার মেডিসিন নামক জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।

বার্তা সংস্থা আইএএনএসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্ক্রিপস রিসার্চ ইনস্টিটিউট একটি অলাভজনক গবেষণা প্রতিষ্ঠান। নতুন নতুন গবেষণার ক্ষেত্রে বিশ্বজুড়ে এর খ্যাতি রয়েছে। সম্প্রতি এক গবেষণাপত্রে প্রতিষ্ঠানটি দাবি করেছে, নতুন করোনাভাইরাস সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক প্রক্রিয়ায় সৃষ্টি হয়েছে। এই ভাইরাস সৃষ্টি হয়েছে প্রাকৃতিক বিবর্তনের ধারাবাহিকতায়।

প্রকাশিত ওই গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, নতুন করোনাভাইরাস কৃত্রিমভাবে তৈরি করা—সম্প্রতি এমন একটি মিথ্যা তথ্য ছড়ানো হচ্ছিল। গবেষণায় দেখা গেছে, নতুন করোনাভাইরাস কৃত্রিমভাবে তৈরি করা হয়নি। বরং প্রাকৃতিক বিবর্তনের প্রক্রিয়াতেই নতুন করোনাভাইরাস সৃষ্টির প্রমাণ মিলেছে।

স্ক্রিপস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের গবেষক ক্রিশ্চিয়ান অ্যান্ডারসন বলেন, ‘করোনাভাইরাস গোত্রের যেসব জিনোম সিকোয়েন্স ডেটা আমাদের হাতে আছে, সেগুলোর সঙ্গে মিলিয়ে দেখা গেছে, নতুন করোনাভাইরাস পুরোপুরি প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্টি হয়েছে।’

২০০৩ সালে প্রথম চীনে সার্স আঘাত হানে। সেটিই ছিল প্রথম করোনাভাইরাস। পরে মার্স নামে আরেকটি করোনাভাইরাস ২০১২ সালে সৌদি আরবে ছড়িয়ে পড়েছিল। এবার যে কোভিড-১৯ সংক্রমণ বিশ্বব্যাপী দেখা যাচ্ছে, সেটিও এক ধরনের করোনাভাইরাস।

নতুন করোনাভাইরাস বর্তমানে দেড় শতাধিক দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। এ রোগে আক্রান্তের সংখ্যা দুই লাখ ছাড়িয়েছে। মারা গেছে আট হাজারের বেশি মানুষ। এই রোগকে বৈশ্বিক মহামারি হিসেবে ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।