আঙ্গেলা ম্যার্কেলের করোনাভাইরাস টেস্ট নেগেটিভ

জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল। ছবি: রয়টার্স
জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল। ছবি: রয়টার্স

জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল করোনাভাইরাসে সংক্রামিত হয়েছেন কি না, সে বিষয়ে প্রথম পরীক্ষাটি নেগেটিভ হয়েছে। তারপরও তাঁকে দুই সপ্তাহ নিজের বাড়িতে ঘরোয়া কোয়ারেন্টিন থাকতে হবে। আর নিয়মিত করোনাভাইরাস আক্রান্ত কি না, তা পরীক্ষা করতে হবে।

জার্মানির সরকারি মুখপাত্র স্টিফেন সিবার্ট গতকাল সোমবার বলেছেন, আঙ্গেলা ম্যার্কেল চিকিৎসক ও রবার্ট কক ইনস্টিটিউট নির্দেশ মেনে চলছেন। এই ইনস্টিটিউটে পরীক্ষায় তাঁর করোনাভাইরাসে সংক্রমণ নেতিবাচক হয়েছে এবং তিনি ভালো আছেন।

এখন চ্যান্সেলর ম্যার্কেল বাড়ি থেকেই সরকার পরিচালনার বিভিন্ন বিষয়ে ফোনে কাজ করবেন। তবে আঙ্গেলা ম্যার্কেল কোয়ারেন্টিন থাকাকালে তার অনুপস্থিতিতে অন্যান্য সরকারি কাজ করবেন জার্মানির সহকারী চ্যান্সেলর অর্থমন্ত্রী ওলাফ শুলজ।

গত রোববার সন্ধ্যায় জার্মানির সরকারি মুখপাত্র স্টিফেন সিবার্ট জানিয়েছিলেন, চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল গত শুক্রবার তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসকের কাছে স্বাস্থ্য পরীক্ষার ও নিউমোকসির বিরুদ্ধে প্রতিরোধী টিকা নিতে গিয়েছিলেন। পরে সেই চিকিৎসকের করোনাভাইরাসে সংক্রমণ ধরা পড়ে। এর পরপরই তিনি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে দুই সপ্তাহের জন্য স্বেচ্ছা–কোয়ারেন্টিন অবস্থান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

জার্মানির ইতিহাসে এই প্রথম চ্যান্সেলরের অনুপস্থিতিতে জার্মানি মন্ত্রিসভার সভায় বিশাল অঙ্কের অর্থ বরাদ্দের অনুমোদন দেওয়া হয়। জার্মান সরকার করোনাভাইরাস সংকটের কারণে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, আত্মকর্মসংস্থান এবং ভাড়াটে ও গরিব পরিবারের ক্ষতি পুষিয়ে দেওয়ার জন্য ৫ হাজার কোটি ইউরো বরাদ্দ দিয়েছেন। চ্যান্সেলর ম্যার্কেল হোম অফিস থেকে ফোনের মাধ্যমে সভাটি পরিচালনা করেন। আর মন্ত্রীরা মন্ত্রিসভার সভাকক্ষে না বসে দূরত্ব বজায় রেখে একটি মন্ত্রিসভার বৈঠকটি করেছেন।

করোনাভাইরাসে সংক্রমণ ঠেকাতে রোববার ঘোষিত ৯ বিধি জারি হওয়ার পর গতকাল থেকে সর্বত্র পুলিশি টহল বেড়েছে। ২৩ মার্চ পর্যন্ত জার্মানিজুড়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা এখন ২৯ হাজার ৫৬, আর এই ভাইরাসে মারা গেছেন ১১৮ জন।