লকডাউনে কমছে ইউরোপের দূষণ

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সারা বিশ্বে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। এই ভাইরাস ঠেকাতে বিশ্বের নানা দেশ লকডাউনের ব্যবস্থা নিয়েছে। এ কারণে এসব দেশে যান চলাচল ও কলকারখানা প্রায় বন্ধ। গৃহবন্দী বহু মানুষ। বাইরে মানুষের চলাফেরাসহ অন্যান্য তৎপরতা একরকম বন্ধ হওয়ায় বাতাসে দূষণের মাত্রা উল্লেখযোগ্য হারে কমে যাচ্ছে।

বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনাভাইরাসের কারণে দেশগুলো লকডাউন থাকায় পুরো ইউরোপের বাতাসে দূষণের মাত্রা অনেক কমে গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মানচিত্রে দেখা গেছে, নাইট্রোজেন ডাই–অক্সাইড (এনও২) তার গতিপথ পরিবর্তন করেছে। এ কারণে বাতাসে দূষণের মাত্রা কমতে শুরু করেছে। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে মূলত বাতাস এত দূষিত হয়ে পড়ে। রয়্যাল নেদারল্যান্ডস মেটিওরোলোজিক্যাল ইনস্টিটিউট (কেএনএমআই) এই মানচিত্রটি প্রকাশ করেছে।

বলা হচ্ছে, করোনাভাইরাস ঠেকাতে নানা দেশে লকডাউন জারি করা হয়েছে। এ কারণে যানবাহন চলাচল ও নানা ধরনের কলকারখানা কার্যত বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে বাতাসে দূষণের মাত্রা কমে যাচ্ছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ডাচ্‌ মেট অফিস কোপার্নিকাস সেন্টিনেল-৫পি উপগ্রহ থেকে ট্রপোমি যন্ত্রের সাহায্যে নাইট্রোজেন ডাই–অক্সাইডসহ বায়ুমণ্ডলীয় গ্যাস পরীক্ষা করে। ২০১৯ সালের মার্চ মাসের বাতাসের সঙ্গে চলতি বছরের ১৪ থেকে ২৫ পর্যন্ত সময়ের বাতাস তুলনামূলক পরীক্ষা করা হয়। এতেই ধরা পরে বাতাসে দূষণের মাত্রা কমছে।

কেএনএমআইয়ের কর্মকর্তা হেঙ্ক এস্কেস বলেন, প্রতিদিন বাতাসে নাইট্রোজেন ডাই–অক্সাইডের পরিবর্তন ঘটছে। পুরো আবহাওয়ার ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটছে। বাতাস তার দিক ও গতি পরিবর্তন করছে।

কোপার্নিকাস সেন্টিনেল-৫পি উপগ্রহ এর আগে চীন ও ইতালির একই ধরনের ম্যাপ প্রকাশ করেছিল। এবার আবারও ইতালির ম্যাপ প্রকাশ করেছে। সেখানে দেখা গেছে, আগের তুলনায় দূষণের মাত্রা আরও কমেছে। ফ্রান্স, স্পেন ও পর্তুগালেরও ম্যাপ প্রকাশ করেছে উপগ্রহটি। এ ছাড়া নেদারল্যান্ডস, যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপের উত্তরাঞ্চলে গভীর পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। যুক্তরাজ্যেও একই ধরনের ইতিবাচক পরিবর্তন দেখা গেছে।