টোকিওতে সংক্রমণ এক দিনে ১০০ ছুঁই ছুঁই

ছবি: রয়টার্স
ছবি: রয়টার্স

জাপানের রাজধানীতে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ার সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়া অব্যাহত আছে। বৃহস্পতিবার ৯৭ জনের সংক্রমণ নিশ্চিত করেছেন মেট্রোপলিটন সরকারের কর্মকর্তারা। এই সংখ্যা হচ্ছে দেশটিতে এক দিনে নতুন শনাক্ত হওয়ার সর্বোচ্চ রেকর্ড। এর আগে বুধবার ৭৮ জনের সংক্রমণ চিহ্নিত করা হয়েছিল।

বৃহস্পতিবারের হিসাব নিয়ে টোকিওতে করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিশ্চিত হওয়া লোকের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৮৪। অন্যদিকে, পুরো জাপানে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা এখন ২ হাজার ৬৭৫। এ পর্যন্ত ৮২ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন।

ইউরোপের বিভিন্ন দেশ, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের তুলনায় জাপানের এই হিসাব উদ্বেগজনক মনে না হলেও সংক্রমণ বৃদ্ধির ঊর্ধ্বমুখী ধারা আসন্ন সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। ফলে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য লকডাউন কিংবা জরুরি অবস্থা ঘোষণার মতো পদক্ষেপ নিতে প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের ওপর বিভিন্ন দিক থেকে চাপ আসছে।

তবে শিনজো আবে মনে করছেন না পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার সংসদ অধিবেশনে দেওয়া বক্তব্যে তিনি উল্লেখ করেন, এ সংক্রমণ সারা দেশে এখনো লাগামহীনভাবে ছড়াতে দেখা যায়নি। বরং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে ধরে রাখতে জাপান সক্ষম হচ্ছে। তবে একই সঙ্গে তিনি আরও উল্লেখ করেন, পরিস্থিতির শিগগির আরও অবনতি হওয়া ঠেকাতে হলে সতর্কতা বজায় রাখা দরকার।

এদিকে দেশের চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা প্রধানমন্ত্রীর ‘সতর্কতা বজায় রাখা’র সঙ্গে একমত হলেও ‘জরুরি অবস্থা জারির সময় হয়নি’ বলে তাঁরা তা মনে করেন না। করোনাভাইরাস সংক্রমণ এখনকার গতিতে বিস্তৃত হতে থাকলে দেশের স্বাস্থ্যসেবার ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে বলে তাঁদের আশঙ্কা।

জরুরি অবস্থা ঘোষণা না করার কারণ হিসেবে জাপানি প্রধানমন্ত্রীর ভাষ্য, এতে নাগরিক অধিকার খর্ব হবে। তবে সমালোচকেরা তাঁর এই যুক্তি মেনে নিতে নারাজ। তাঁরা বলছেন, নাগরিক অধিকার নিয়ে এতটা সচেতন তিনি কখনো ছিলেন না।