করোনায় আক্রান্ত ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন আইসিইউতে

বরিস জনসন। ছবি: রয়টার্স
বরিস জনসন। ছবি: রয়টার্স

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র) নেওয়া হয়েছে। করোনার লক্ষণগুলো প্রকট হওয়ায় তাঁকে নিবিড় পরিচর্যায় নেওয়া হলো। একই সঙ্গে ব্রিটিশ সরকারের দায়িত্ব পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক রাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি ও গার্ডিয়ান এ তথ্য জানিয়েছে।

খবরে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী জনসনের শরীরে করোনার লক্ষণগুলোর প্রকট আকার ধারণ করেছে। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেওয়া হয়। স্থানীয় সময় সোমবার বিকেলের পর চিকিৎসকেরা তাঁর ব্যাপারে এই সিদ্ধান্ত নেন। ৫৫ বছর বয়সী প্রধানমন্ত্রীকে লন্ডনের সেন্ট টমাস হাসপাতালে রোববার বিকেলে ভর্তি করা হয়েছিল

গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের শয্যা গুলো গুরুতর অসুস্থ রোগীদের জন্য সংরক্ষিত থাকে। করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের ক্ষেত্রে যাদের শ্বাস প্রশ্বাসের জন্য ভেন্টিলেটর জরুরি হয়ে পড়ে, সাধারণত তাদের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে নেওয়া হয়।

ব্রিটিশ রানির বাসভবন বাকিংহাম প্যালেস থেকে বলা হয়েছে, রানি এলিজাবেথ প্রধানমন্ত্রীর শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে অবগত।

গত ২৭ মার্চ করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর থেকে বরিস জনসন বাসায় থেকে কাজ করছিলেন। সবশেষ তাঁকে জনসমক্ষে দেখা গেছে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়। এর পরদিন করোনাভাইরাস নিয়ে একটি বৈঠকে দূর থেকে সভাপতিত্ব করেন তিনি। শুক্রবার টুইটারে প্রকাশিত এক ভিডিওতে তিনি জানান, এখনো তাঁর উপসর্গগুলো রয়ে গেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির তথ্য মতে, এখন পর্যন্ত যুক্তরাজ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে পাঁচ হাজার ৩৭৩ জন মারা গেছেন। এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে ৫২ হাজার ২৭৪ জনের শরীরে। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২৮৪ জন। আর বিশ্বজুড়ে ১৮৪ দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়া এ ভাইরাসে প্রাণ গেছে ৭৩ হাজার ৯১৭ জনের। আর শনাক্ত হয়েছেন ১৩ লাখ ৩১ হাজার ৩২ জন।