করোনা মহামারি শেষ হতে লাগবে দুই বছর

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা ব্যাপক হারে বাড়ছে। ব্রাজিলে দীর্ঘ হচ্ছে লাশের সারি। দক্ষিণ এশিয়াতেও বাড়ছে সংক্রমণ। এর মধ্যে নতুন সতর্কবার্তা দিল যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়টির সেন্টার ফর ইনফেকশাস ডিজিজ রিসার্চ অ্যান্ড পলিসির (সিআইডিআরএপি) গবেষকেরা জানিয়েছেন, এই ভাইরাসের মহামারি শেষ হতে দুই বছর লাগতে পারে। এ ছাড়া বিশ্বের দুই-তৃতীয়াংশ মানুষের এই রোগের প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি না হওয়া পর্যন্ত মহামারি নিয়ন্ত্রণে আসবে না।

মিনেসোটা বিশ্ববিদ্যালয় এমন সময়ে এই সতর্কবার্তা দিচ্ছে, যখন বিশ্বের বিভিন্ন দেশ লকডাউন তুলে নেওয়ার চিন্তাভাবনা করছে। সিআইডিআরএপির গবেষকেরা জানিয়েছেন, এই ভাইরাস এমন মানুষও ছড়ানোর ক্ষমতা রাখে, যাদের দেখে মনে হতে পারে তারা অসুস্থ নয়। যেকোনো ইনফ্লুয়েঞ্জা নিয়ন্ত্রণের চেয়ে এই ভাইরাস নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হবে। যখন প্রায় ৭০ শতাংশ মানুষের শরীরে করোনা প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হবে, তখন সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসবে।

নতুন এই গবেষণায় আরও বলা হয়েছে, করোনায় আক্রান্ত দেশগুলোর সরকার এই প্রস্তুতি নিতে হবে যে এই মহামারি এখনই শেষ হচ্ছে না। আর সাধারণ মানুষকেও এই জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে যে এই ভাইরাসের পর্যায়ক্রমিক পুনরুত্থান হতে পারে আগামী দুই বছরের মধ্যে।

নতুন এই গবেষণাপত্র লিখেছেন সিআইডিআরএপির পরিচালক মাইকেল ওস্টারহলম, চিকিৎসাবিজ্ঞান–বিষয়ক পরিচালক ক্রিস্টেন মুর, তুলানে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক হেলথ হিস্টোরিয়ান জন বারি ও হার্ভার্ড স্কুল অব পাবলিক হেলথের রোগতত্ত্ববিদ মার্ক লিপসিচ।

নতুন এই ভাইরাসের মহামারি নিয়ে পূর্বাভাস দেওয়ার জন্য এই গবেষকেরা অতীতের বৈশ্বিক মহামারি তথ্যের ওপর চোখ বুলিয়েছেন। তাঁরা বলছেন, এই মহামারি চলবে দেড় থেকে দুই বছর। এই মহামারির সঙ্গে ১৯১৮ সালের মহামারি স্প্যানিশ ফ্লুর সঙ্গে মিল রয়েছে।