অস্ট্রেলিয়ার দ্বীপে বিপন্ন পেঁচার ছানা

নরফোব দ্বীপের মোরপর্ক পেঁচার ছানা। ছবি: পার্ক অস্ট্রেলিয়ার সৌজন্যে
নরফোব দ্বীপের মোরপর্ক পেঁচার ছানা। ছবি: পার্ক অস্ট্রেলিয়ার সৌজন্যে

অস্ট্রেলিয়ার দূরবর্তী নরফোক দ্বীপে বিপন্নপ্রায় প্রজাতির পেঁচার ছানার সন্ধান পেয়েছেন গবেষকেরা। মোরপর্ক নামের ওই পেঁচার দুটি ছানা উদ্ধার করেছেন তাঁরা। গত এক দশকের মধ্যে প্রথমবার এ প্রজাতির পেঁচা দেখা গেল। বিবিসির এক ভিডিও প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

গবেষকেরা বলেন, নরফোক দ্বীপে বড়জোর ৪৫-৫০ জোড়া মোরপর্ক পেঁচা থাকতে পারে। সেখানে নতুন ছানার সন্ধান পাওয়া মানে এ প্রজাতির ভবিষ্যতের জন্য ভালো খবর।

মোনাশ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাখি বাস্তুবিদ রোহান ক্লার্ক বলেন, ছানাগুলো প্রজাতির ভবিষ্যতের প্রতিনিধিত্ব করে। পৃথিবীতে তাদের অস্তিত্ব ৫০ টিরও কম রয়েছে। এটি অত্যন্ত রোমাঞ্চকর ঘটনা।

এবিসি নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, গাঢ় দাগযুক্ত পেঁচা প্রজাতির সংরক্ষণে গবেষকরা চার দশকেরও বেশি সময় ধরে কাজ করেছেন। ১৯৮০ এর দশকে দ্বীপের পেঁচা হ্রাস পাওয়ার পরে কাজ শুরু হয়েছিল, তখন এখানে কেবল একটি নারী পেঁচা ছিল।

গবেষক ক্লার্ক বলেন, 'আমরা জানতাম যে আমাদের এটি সংরক্ষণ করতে হবে। এরপর অবিশ্বাস্য ইতিহাস তৈরি হয়েছে। ১৯৮৯ সালের দিকে পেঁচাটি সফলভাবে নিউজিল্যান্ডের একটি উপ-প্রজাতির পুরুষ পেঁচার সঙ্গী হয়। ফলে নতুন প্রজন্মের মোরপর্ক পেঁচাগুলো অনন্য হাইব্রিড জাতের।'

গবেষক ক্লার্ক ও নরফোক আইল্যান্ড ন্যাশনাল পার্ক রেঞ্জারদের ভাষ্য, নতুন ছানা দেখতে খুব সুন্দর হলেও তাদের পাওয়া কষ্টকর। কারণ ২০১২ সাল থেকে পেঁচার প্রজনন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। ২০১৯ সাল পর্যন্ত পেঁচার প্রজনন না হওয়ায় গবেষকেরা তাদের রক্ষায় পেঁচার বাসস্থান তৈরিসহ বেশকিছু পদক্ষেপ নেন। এতে নতুন করে আবার প্রজনন শুরু হয়েছে।