করোনা ইউরোপে কমছে, এশিয়ায় আশঙ্কা

ইউরোপের বিভিন্ন দেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে লকডাউন শিথিল হলেও এশিয়ায় করোনার নতুন বিস্তার বাড়িয়ে তুলছে উদ্বেগ। ছবি: রয়টার্স
ইউরোপের বিভিন্ন দেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে লকডাউন শিথিল হলেও এশিয়ায় করোনার নতুন বিস্তার বাড়িয়ে তুলছে উদ্বেগ। ছবি: রয়টার্স

করোনা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হওয়ায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কেও দীর্ঘ লকডাউন সোমবার থেকে শিথিল হতে শুরু করেছে। তবে করোনাভাইরাসের উৎস চীন ও দক্ষিণ কোরিয়ায় নতুন করে সংক্রমণ দেখা দেওয়ায় উদ্বেগ বাড়ছে। দ্বিতীয় পর্যায়ের সংক্রমণ বিপদের আশঙ্কা বাড়িয়ে তুলেছে।

আজ মঙ্গলবার বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বজুড়ে সরকার ও প্রশাসন এখন এক ধরনের মিশ্র পরিস্থিতির মুখে। তারা ভাইরাসের বিস্তার নিয়ন্ত্রণে রেখে বিপর্যস্ত অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করছে। 

করোনায় বিশ্বজুড়ে দুই লাখ ৮৪ হাজারের মতো মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সবচেয়ে বেশি মৃত্যু যুক্তরাষ্ট্রে। জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুসারে, সেখানে ৮০ হাজারের মতো মানুষ মারা গেছে। দ্বিতীয় দিনের মতো সেখানে গত ২৪ ঘণ্টায় ৯০০ জনের কম মানুষ মারা গেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত নিউইয়র্ক এই সপ্তাহ থেকে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার সবুজ সংকেত দিয়েছে।

নিউইয়র্কের গর্ভনর অ্যান্ড্রু কুমো সাংবাদিকদের বলেন, 'আমরা আজ থেকে নতুন অধ্যায় শুরু করেছি।এটা উত্তেজনাপূর্ণ এক নতুন ধাপ। আমরা সবাই কাজে ফিরে যাওয়ার পুলক অনুভব করছি।'

শকডাউন শিথিল করে ফ্রান্স ও স্পেন যখন নতুন স্বাধীনতাকে আলিঙ্গন করেছে, যুক্তরাজ্য গুটিয়ে রাখা কর্মকাণ্ড আংশিকভাবে চালু করার কথা ভাবছে, তখন করোনাভাইরাসের উৎসস্থল চীনের উহান শহরে ভাইরাসটির উপসর্গ ছাড়াই রোগী শনাক্ত হয়েছে। দ্বিতীয় দিনেও এ ভাইরাসে সংক্রমিত রোগী শনাক্ত হয়েছে সেখানে। এক মাসের বেশি সময় পর দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলে আবার সংক্রমণ দেখা দিয়েছে।

করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে শত কোটি মানুষ আজ কর্মহীন। অর্থনীতি ভেঙে পড়েছে। সরকারগুলো ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া। কিন্তু ভাইরাসটি ঘুরে ঘুরে ফিরে আসায় বেশির ভাগ সরকার ভয়ে ধাপে ধাপে অগ্রসরের পথ বেছে নিয়েছে।

ইউরোপের কোনো কোনো অংশে ব্যবসায়িক প্রতিশ্রুতি নিয়ে উৎসাহিত হয়েছে কর্তৃপক্ষ।করোনাভাইরাসে যুক্তরাষ্ট্রের পর ইউরোপ সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত। শুরুতে ইউরোপে এক সময় ভাইরাসটির কেন্দ্রস্থল স্পেনে দিনে মৃত্যুুর সংখ্যা কমে ১২৩ জনে নেমে এসেছে। সেখানে এক হাজারের কম রোগী এখন নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন। ১০ মার্চ থেকে দেশটিতে প্রার্দুভাবটি ছড়িয়ে পরার পর আইসিইউতে এটাই সবচেয়ে কম সংখ্যক রোগী থাকার রেকর্ড। ফ্রান্সে সাতদিন মৃত্যুর সংখ্যা কমার পর গতকাল সোমবার পরিস্থিতি একই থাকে। গতকাল সেখানে মারা যায় ২৬৩ জন।