পশ্চিম তীরের বসতিতে সার্বভৌম ক্ষমতার দাবি

বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। রয়টার্স ফাইল ছবি।
বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। রয়টার্স ফাইল ছবি।

ইসরায়েলে নতুন ঐক্যের সরকার গত রোববার শপথ নিয়েছে। সাবেক প্রতিদ্বন্দ্বী বেন্নি গ্যান্টজকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বের পার্লামেন্টে এ শপথ অনুষ্ঠিত হয়। এদিকে নতুন সরকারে শপথ নিয়েই ফিলিস্তিনে অবৈধ ইহুদি বসতি সম্প্রসারণ এবং সেখানে ইসরায়েলি সার্বভৌম ক্ষমতার অঙ্গীকার করেছেন নেতানিয়াহু।

নতুন সরকারের ওই শপথের মধ্য দিয়ে ইসরায়েলের ইতিহাসে দীর্ঘতম রাজনৈতিক সংকটেরও অবসান ঘটেছে। ৫০০ দিনের বেশি কোনো স্থিতিশীল সরকারব্যবস্থা ছাড়া ও তিনটি অমীমাংসিত নির্বাচনের পর দেশটির পার্লামেন্ট ঐকমত্যের সরকার নিয়ে একটা চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে উপনীত হতে সক্ষম হয়।

ইসরায়েলি পার্লামেন্ট নেসেটের আইনপ্রণেতারা এক ভোটাভুটির পর তিন বছরের জন্য নতুন জোট সরকারের অনুমোদন দিয়েছেন। এর পক্ষে ভোট পড়ে ৭৩টি। বিপক্ষে ৪৯টি। আর একজন সদস্য ভোটদানে বিরত থাকেন।

দায়িত্ব গ্রহণের পরই নেতানিয়াহু বলেন, অধিকৃত পশ্চিম তীরের বড় এক অংশে অবৈধ ইহুদি বসতি সম্প্রসারণ নিয়ে লড়াই চলবে। ভোটাভুটির আগে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু পার্লামেন্টে দেওয়া ভাষণে বলেন, বসতি সম্প্রসারণের কাজে তাঁর নতুন সরকারকে সার্বভৌম ক্ষমতা খাটাতে হবে। উল্লেখ্য, ফিলিস্তিনে বছরের পর বছর ধরে ইসরায়েল যে বসতি স্থাপনের কাজ চালাচ্ছে, আন্তর্জাতিক আইনের অধীন তা অবৈধ।

জবরদখলকৃত ফিলিস্তিনের ভূখণ্ডে এই বসতি স্থাপন বিষয়ে নেতানিয়াহু আরও বলেন, ‘এখন ইসরায়েলি আইনের প্রয়োগ করা ও ইহুদিবাদের সমৃদ্ধ ইতিহাসে আরেকটি উজ্জ্বল অধ্যায় লেখার সময় এসেছে। এগুলো হলো এমন সব এলাকা, যেখানে ইহুদি জাতির জন্ম হয়েছে এবং তারা বেড়ে উঠেছে।’

তবে নেতানিয়াহুর জোট সরকারের গুরুত্বপূর্ণ শরিক সাবেক সেনাপ্রধান গ্যান্টজ তাঁর ভাষণে এই বসতি সম্প্রসারণের বিষয়ে কিছু উল্লেখ করেননি। গত মাসে এই দুই সাবেক প্রতিদ্বন্দ্বী তিন বছরের জন্য এ জোট সরকার গঠনে মতৈক্যে পৌঁছান।